দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন সামাল দেওয়ার নাম করে মুসলিমদেরই বেছে বেছে আক্রমণ করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন উত্তরপ্রদেশের কয়েকজন মানবাধিকার কর্মী। ওই মানবাধিকার কর্মীরা হলেন হর্ষ মান্দার, জন দয়াল এবং কবিতা কৃষ্ণ। তাঁদের দাবি, রাজ্যজুড়ে যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ বেড়ে উঠছে, তার বহিঃপ্রকাশ বেশিরভাগ সময়েই হিংসাত্মক নয়। কিন্তু মুসলিমদের উপর এই অত্যাচারের কারণেই এত হিংসার ঘটনা ঘটছে।
আমাদের সব খবর পড়ুন এইবার মোবাইল অ্যাপে। ডাউনলোড করুন বাংলার সেরা নিউজ অ্যাপ
এই দাবির সপক্ষে বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও-ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তাঁরা। কবিতা কৃষ্ণ ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। কবিতার দাবি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সশস্ত্র দল এবং ব়্যাফ রীতিমতো পোশাক পরে দাঙ্গা বাঁধিয়েছে। মুসলিমদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। মুসলিমদের দেশের বাইরে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে চিৎকার করে। কবিতা, জন দয়ালদের দাবি, অদ্ভুত ভাবে কোনও হিন্দু পরিবার কিন্তু আক্রান্ত হয়নি।
যদিও এই অভিযোগ নিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কার্যত অগ্নিগর্ভ উত্তরপ্রদেশ। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন বিক্ষোভকারী। পুলিশের দাবি, মোট ২৮৮ জন পুলিশ আক্রান্ত হয়েছেন। উল্টো দিকে পরিসংখ্যান বলছে, সংঘর্ষে মৃতদের মধ্যে সকলেই সাধারণ নাগরিক। তাঁদের মধ্যে এক জন ২০ বছরের এক হবু সিভিল সার্ভিস অফিসার। কার্ফু জারি হয়েছে একাধিক জেলায়। ১২টি জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
সব খবর পড়তে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন – এখানে ক্লিক করুন