দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : কেরলায় কংগ্রেস বিধায়ক সফি পরম্বিলকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটালো পুলিশ। সফির সঙ্গে কেরল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (কেএসইউ) ছাত্রদেরও পেটানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ছবি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হওয়ার পর বুধবার উত্তাল হয়ে ওঠে কেরল বিধানসভা।
ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বহু বিরোধী বিধায়ক রক্তের দাগ লাগা জামা পরে বিধানসভায় এসেছিলেন। অনেকে বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেস বিধায়ক ভিটি বলরাম দাবি তুলেন, সভার কর্মকাণ্ড স্থগিত রেখে ‘পুলিশি নিগ্রহ’ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট) অধিবেশনের শুরু থেকেই সোচ্চার হয় পুলিশ-কেএসইউ সংঘর্ষ নিয়ে। পাঁচ বিধায়ক স্পিকারের চেয়ারের কাছাকাছি চলে এলে, স্পিকার ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান।
২০১৭ সালে কেরলের পলক্কর জেলার ওয়ালার অঞ্চলে দুটি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে এক শিশু আত্মহত্যা করে। আর একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের পর দেখা যায় দু’টি শিশুকেই ধর্ষণ করা হয়েছিল। এঘটনায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারই বিজয়ন সোমবার জানিয়ে দেন – এই তদন্ত আর চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। তার পরেই শুরু হয় কংগ্রেসের বিক্ষোভ। বিক্ষোভ থামাতে জলকামান চালায় পুলিশ। চলে লাঠিচার্জও। মূলত এই ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়েই রাস্তায় নামে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন কেএসইউ। কেএসইউ-এর অভিযোগ, ২০ জনের বেশি ছাত্রনেতা আহত হন পুলিশি লাঠিচার্জে। সবচেয়ে বেশি আহত হন সফি। সংবাদ সংস্থার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তাকে বেশ কয়েকজন পুলিশ ঘিরে ধরে বেধড়ক মারছে।
সব খবর পড়তে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন – এখানে ক্লিক করুন