দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপির জোট সঙ্গী এডিএমকে। আর তাতেই অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির। কারণ সেই ইস্তাহারে সিএএ বাতিলের দাবি তুলেছে এডিএমকে। সেই সঙ্গে, শিক্ষাকে যৌথ তালিকা থেকে সরিয়ে রাজ্য তালিকায় আনার দাবিও তুলল দক্ষিণের দলটি। যার ফলে বলা যেতেই পারে তীব্র চাপে পড়ল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ।
রবিবার এডিএমকে-র ইস্তাহারে এই দু’টি বিষয় প্রকাশিত হতেই চাপে পদ্ম-শিবির। যদিও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি তারা। এ দিন বেশির ভাগ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি এল মুরুগানকে প্রার্থী করা হয়েছে। কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী খুশবু সুন্দরকেও চেন্নাইয়ের থাউজ্যান্ড লাইটস আসনে প্রার্থী করা হচ্ছে। মহিলা মোর্চার নেত্রী ভনথী শ্রীনিবাসনকে দক্ষিণ কোয়ম্বত্তুরে অভিনেতা-রাজনীতিক কমল হাসনের বিরুদ্ধে টিকিট দিয়েছে দল।
জোটের জয় নিয়ে আশাবাদী তামিলনাড়ুর ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা জি কিষাণ রেড্ডি প্রার্থী ঘোষণার পরে বলেন, ‘‘২০১৯ সালের লোকসভায় ডিএমকে-র পক্ষে হাওয়া ছিল। কিন্তু গত দু’বছরে তা ঘুরে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন ও রাজ্যের এডিএমকে সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা মানুষের মনে দাগ কেটেছে। উল্টো দিকে, ডিএমকে-র পরিবারতন্ত্র, গুণ্ডাগিরিতে আমজনতা বীতশ্রদ্ধ। এডিএমকে-বিজেপি জোটই ক্ষমতায় আসবে।’’