দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কা। দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার আশঙ্কা। আর এই আশঙ্কা তৈরি হবে নাই বা কেন? তখন তো একের পর এক সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাপিয়ে বলে বেড়াচ্ছেন, ‛ঘুসপেটিয়ো কো চুন চুন করকে নিকলেঙ্গে’। ঘুসপেটিয়া বলে শাহ কাদের বোঝাতে চেয়েছিলেন তখন তাদের কাছে স্পষ্ট।
স্বাভাবিকভাবেই সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁরা। দেশছাড়া হওয়ার আতঙ্কে ভোগা প্রতিবাদীদের সঙ্গে অত্যন্ত নিষ্ঠুর আচরণ করেছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। আন্দোলনকারীদের উপর নেমে এসেছিল প্রবল পুলিশি নির্যাতন। বহু প্রতিবাদীকে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োগ করা হয়েছিল এনএসএ (জাতীয় নিরাপত্তা আইন) শুধু তাই নয়, নির্মমভাবে সীমা পার করে যোগী সরকার এই আশঙ্কাগ্ৰস্ত মানুষদের থেকে জরিমানা ও ক্ষতিগ্রস্থ আদায় করতে তৎপর হয়েছিল।
আন্দোলনকারীদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে এবার ট্রাইব্যুনাল গঠনে সম্মতি দিল যোগী সরকার। সিএএ আন্দোলনের জেরে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে টাকা আদায় করতেই এই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ধরনের ট্রাইব্যুনাল গঠনে অনুমতি দিয়েছেন। মিরাট ও লখনউতে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। রাজ্যের এক সরকারি মুখপাত্রর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘর্ষে ঝাঁসি, কানপুর, চিত্রকুট, ধাম, লখনউ, অযোধ্যা, দেবী পাতান প্রয়াগরাজ, আজমগড়, বারাণসী, গোরক্ষপুর, বাস্তি ও বিদ্যাচল ধাম এলাকায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা দেখবে লখনউ ট্রাইব্যুনাল। আর মিরাট ট্রাইব্যুনালের অন্তর্গত রয়েছে আলিগড় , মোরাদাবাদ, মিরাট, বরেলি ও আগ্ৰা ডিভিশন।
উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরে সিএএ আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। বাদ যায়নি যোগীর উত্তরপ্রদেশ। অভিযোগ, সারাদেশে মধ্যে একমাত্র উত্তরপ্রদেশ সরকারই সিএএ আন্দোলকারীদের প্রতি সবথেকে অমানবিক আচারণ করেছিল। তখন যোগী সরকার আন্দোলকারীদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ জারি করেছিল। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য সেখানে ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বল হয়েছিল। সেইমতো এই ট্রাইব্যুনাল দুটি গঠনে সায় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ।