নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, কলকাতা : ‛আরামবাগ টিভি’র সম্পাদক সফিকুল ইসলামের গ্রেফতারির ঘটনায় গোটা রাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এইবার ‛দ্য প্রেস অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল’-এর পক্ষ থেকে ‛আরামবাগ টিভি’র সম্পাদক ও সাংবাদিক সুরজ আলি খানের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ‛আরামবাগ টিভি’র পাশে থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।
অ্যাসোসিয়েশনের কথায়, ‛মিডিয়া হচ্ছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কেউ যদি মিডিয়ার কণ্ঠ চেপে রাখার চেষ্টা করে তাহলে সেটা বড় ভুল হবে। মিডিয়া সবসময় মানুষের কথা তুলে ধরে, সত্যকে মানুষের সামনে উন্মোচন করে। এটা মিডিয়ার কাজ এবং ধর্ম। মিডিয়াকে যারা চেপে রাখার চেষ্টা করবে তারা ভুল করবে।’
সূত্রের খবর, ‛আরামবাগ টিভি’র সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে সফিকুলের স্ত্রী আলিমা বিবি এবং ‘আরামবাগ টিভি’র আরেক সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে। রবিবার সফিকুল এবং সুরজের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়। যাতে অভিযোগ ছিল, সরকারি গাছ কাটা নিয়ে সুরজ এক ব্যক্তিকে হুমকি দিয়েছেন।
আরামবাগ টিভির বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর দাবি, সুরজ তাঁর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার ‘তোলা’ চেয়েছেন। না দিলে গাছ কাটা নিয়ে দুর্নীতির ‘ভুয়ো’ খবর ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। সেই মামলার ভিত্তিতেই ওই সাংবাদিককে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। যদিও ‘আরামবাগ টিভি’র আধিকারিকদের দাবি, সফিকুল এবং সুরজের উপর পুরনো রাগ পুলিশের।
গত এপ্রিল মাসে ‘আরামবাগ টিভি’তে একটি খবর সম্প্রচারিত হয়। যাতে দেখানো হয়, লকডাউনের মধ্যেও থানা থেকে স্থানীয় কতগুলি ক্লাবকে আর্থিক সাহায্যের চেক বিলি করা হচ্ছে। সেই খবরে দাবি করা হয়, তথাকথিত এই ‘ক্লাব’গুলির অস্তিত্ব নেই। শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের টাকা পাইয়ে দিতেই এভাবে ক্লাবের নামে থানা থেকে চেক বিলি করা হচ্ছে। তখনই সফিকুলের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো’ খবর সম্প্রচারের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যদিও আদালত তাঁর গ্রেফাতারিতে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয়। সেই মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে সফিকুলের দাবি, তখন থেকেই তাঁকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।