দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য অসমের ইসলামধর্মী খিলঞ্জিয়া সংগঠনের মঞ্চ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এ কথা বলেছেন, অসমের বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের নেতা মমিনুল আওয়াল। আওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানান, যে ঘরে নামাজ পড়া হয় না, সেই ঘর এমনিতেই মসজিদের মর্যাদা হারিয়ে ফেলে। বাবরি মসজিদে বহু বছর থেকে কোনও নামাজ পড়া হয়নি। রামমন্দির নির্মাণের জন্য যে ট্রাস্ট গঠন করা হবে, সেই ট্রাস্টে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে অসমের ইসলামধর্মী খিলঞ্জিয়া সংগঠনের সমন্বয় মঞ্চ ‛জনগোষ্ঠী সমন্বয় পরিষদ, অসম’।
অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত রায়দান হওয়ার পর এভাবেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মমিনুল আওয়াল।
আওয়াল বলেন রামমন্দির নির্মাণের ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্ট যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে, তাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এই রায় দীর্ঘদিনের বাধা দূর করলো এবং এখন রামমন্দির নির্মাণের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে আমরা ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য দেব। বাবরি মসজিদকে ‛একটি সাধারণ ঘর’-এর সঙ্গে তুলনা করে আওয়াল বলেন, বছরের পর বছর এখানে কোনও নামাজ পড়া হয়নি। তবে সুপ্রিমকোর্টের রায় নিয়ে কিছু লোক যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে, তার উল্লেখ করে আওয়াল বলেন, তাদের প্রতি আমার একটি অনুরোধ, ধর্মীয় ব্যাপারে এই বিষয়টি নিয়ে তারা ধর্মগুরুদের সঙ্গে আলোচনা করুন।
এদিকে, এনআরসির কাজকর্মের সময় সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর ভূমিকার সমালোচনা করেছেন আওয়াল। কিন্তু এখন তিনি তার প্রশংসা করছেন। আওয়াল বলেন, এনআরসির সময় রঞ্জন গগৈ আমাদের যে পরিমাণ দঃখ দিয়েছেন, আমি একজন অসম সন্তান হিসেবে এখন অযোধ্যা মামলার রায় শুনে এর চেয়ে বেশি সুখী হয়েছি। উল্লেখ্য, এনআরসির প্রাক্তন রাজ্য সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলাকে মধ্যপ্রদেশে বদলির নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সে সময় মমিনুল আওয়াল রঞ্জন গগৈর কড়া সমালোচনা করেছিলেন। মুমিনুল আওয়াল অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হওয়ার পর হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রদায়গত সম্প্রীতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে সকলের সম্মান জানানো উচিত।
সব খবর পড়তে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন – এখানে ক্লিক করুন