দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির উপর হামলার অভিযোগ উঠল ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড় থানা এলাকার কাজদিয়ায়। এরপরই তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবিতে কয়েক হাজার লোক অবরোধ শুরু করেন ভাঙড় লাগোয়া ঘটকপুকুরের কাছে বাসন্তী হাইওয়ের উপর। অবরোধকারীদের দাবি, শওকত মোল্লাকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তাঁরা অবরোধ চালিয়ে যাবেন।
আব্বাসের অভিযোগ, তিনি এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে ভাঙড়ে গিয়েছিলেন। কাজদিয়ায় পৌঁছনো মাত্রই তাঁদের উপর হামলা চালায় শওকত ও তাঁর দলবল। পিছনে যাঁরা মোটর সাইকেলে ছিলেন তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে দাবি আব্বাসের। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদার আরও অভিযোগ, তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছিল। তাঁর দুটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাসন্তী হাইওয়েতে যে জায়গায় অবরোধ চলছে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে অন্তত চার থেকে পাঁচটি থানার বিরাট পুলিশবাহিনী।
একটি ভিডিও বার্তায় আব্বাস বলেন, ‛আমফানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছিলাম। সংবিধান ও দেশ বাঁচাতে রাস্তায় নেমেছিলাম। সেই আক্রোশেই আমার উপর হামলা হয়েছে।’ আব্বাস সিদ্দিকের উপর হামলার খবর চাউর হতে বেশ কিছু জায়গায় অবরোধ শুরু হয়। হুগলিতে জাঙ্গিপাড়া, শিয়াখালা-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে পথ অবরোধ করেন আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীরা। গোটা ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা।