সামাউল্লাহ মল্লিক, নয়াদিল্লি: বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে হিন্দু পড়ুয়াদের দিয়ে মুসলিম ছাত্রকে মারধরের ঘটনাকে লজ্জাজনক আখ্যা দিল জামাআতে ইসলামী হিন্দ। মুজফফরনগর জেলার খুব্বাপুর গ্রামের নেহা পাবলিক স্কুলের ওই ঘটনায় একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছে জামাআত। বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় এডুকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান সেলিম ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও এবং বিভিন্ন বিশ্বস্ত গণমাধ্যমে দেখা গিয়েছে যে, ক্লাসের মুসলিম পড়ুয়াদের চড় মারতে হিন্দু শিশুদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন এক শিক্ষিকা। পাশাপাশি তিনি অশালীন মন্তব্যও করেছেন। ওই স্কুল ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
ওই জামাআত নেতা আরও বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি মুসলিম ছাত্রটির বাবাকে বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে যেন তিনি ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের না করেন।” তিনি বলেন, “ওই স্কুল একটি বেসরকারি আবাসিক ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালয়টি সংশ্লিষ্ট স্টেট স্কুল বোর্ড এর সমস্ত প্রয়োজনীয় মান ও নিয়ম অনুসরণ করছে কিনা তাও পরীক্ষা করা দরকার। এনসিপিসিআর-এর উচিত বিষয়টি তদন্ত করে ফলাফল প্রকাশ করা।”
সেলিম ইঞ্জিনিয়ারের বলেন, “এই ঘটনায় শিশুদের অধিকার গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে, তাই অবিলম্বে সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পরিতাপের বিষয় যে, দেশে ছড়িয়ে পড়া বিদ্বেষের পরিবেশ থেকে স্কুলের ছোট শিশুরাও এখন আর নিরাপদ নয়। এই পরিবেশের শিকার হচ্ছে তারাও। বর্তমানে স্কুল, কলেজ, ক্যাম্পাসে ইসলামফোবিয়া দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের উচিত এটিকে একটি সামাজিক কুফল হিসেবে বিবেচনা করে তা নির্মূল করার জন্য আইনের খসড়া তৈরি করা এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এই দুর্যোগ মোকাবেলায় দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। পুলিশ, এনসিপিসিআর এবং আদালতের উচিত, এই ধরনের স্কুল ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করে শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত করা।”