দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বিরসা মুণ্ডার মূর্তিেত মালা দেননি অমিত শাহ। বাঁকুড়া জুড়ে সকাল থেকে চলছে মূর্তি বিতর্কের পারদ। আদিবাসী সমাজে বিরসা মুণ্ডাকে ভগহানের আসনে বসানো হয়ে থাকে। সেখানকার স্থানীয় আদিবাসী সংগঠনের দাবি অমিত শাহ যে মূর্তিতে মালা দিয়েছেন সেটা বিরসা মুণ্ডার মূর্তিই নয়। পাল্টা বিজেপি আক্রমণ শানিয়ে বলেছে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করতেই আদিবাসীদের ব্যবহার করছে।
বাংলা সফরের প্রথম দিনেই বাঁকুড়ায় আদিবাসী গ্রাম চতুর্ডিহিতে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তার আগে পুয়ারবাগানে বিরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। কিন্তু তাঁর সফরের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই মূর্তি নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। সে মূর্তি বিরসা মুণ্ডার মূর্তি নয়। বিরসা মুণ্ডাকে আদিবাসী সমাজ ভগবান জ্ঞানে পুজো করে থাকে। সেখানে এরকম একটা ঘটনা আদিবাসী সমাজে ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
এদিকে আদিবাসী সংগঠনের এই দাবি নস্যাৎ করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে এর নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আদিবাসীদের বিজেপির বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছিল আদিবাসীদের নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।
গতকাল বাঁকুড়ার চতুর্ডিহি গ্রামে আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্ন ভোজন করেন অমিত শাহ। আলুপোস্ত, পোস্তর পড়া ভাত, চাটনি, রুটি এই সবই ছিল অমিত শাহের খাবার তালিকায়। এই নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্ন ভোজন করলেও অমিত শাহ বা বিজেপি নেতারা আর কোনও আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেননি তাঁদের খোঁজও নেয়নি। এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে গোটা গ্রামে।
আদিবাসীদের নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। গতকাল তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেছিলেন বাংলার মানুষ কোনওভাবেই বহিরাগতদের মেনে নেেব না। গতকাল বিধানভবন থেকে একের পর এক আক্রমণে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে একযোগে বিঁধেছিলেন অধীর চৌধুরী।