দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : চোপড়ায় জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় রং চড়িয়ে গন্ডগোলের পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি— প্রাথমিক তদন্তের পরে এমনটাই মনে করছে ইসলামপুর জেলা পুলিশ। সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ তারা উপরমহলে পাঠিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার পরে পরিবার ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ আনেনি। ঘটনার কথা জানতে পেরে স্থানীয় বিজেপি নেতা বিজয় সিংহ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মেয়েটির দাদার বয়ান ও তথ্য অনুযায়ী পুলিশের দাবি, বিজয় যখন ওই দাদাকে ফোন করেন, তখন সকাল ৬টা ৫৩। তার পর ৭টা ২২ মিনিট পর্যন্ত দু’জনের মধ্যে দফায় দফায় ফোনে কথা হয়।
পুলিশের দাবি, পরপর ফোন কলগুলি দেখলেই বোঝা যাবে, কী ভাবে ৬টা ৫৩ মিনিটে ঘটনাটি প্রথমে জানার পরের পৌনে চার ঘণ্টার মধ্যে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে এটি নিয়ে। পুলিশের বক্তব্য, দু’টি মোবাইল দেখার পরে যদিও স্পষ্ট হয়ে যায় এটি যুগলে আত্মহত্যার ঘটনা, তার পরেও বিজেপির ইসলামপুর, রায়গঞ্জ এবং কলকাতার নেতৃত্ব এলাকায় লোক খেপিয়ে গোলমালের পরিকল্পনা করেছিলেন। পুলিশ জানায়, সুবোধ সরকার ও অসীম বর্মণ গা-ঢাকা দিয়েছেন।
এই আন্দোলনে নেমে বুধবার গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বৃহস্পতিবার জামিন পেয়ে শিলিগুড়ি চলে যান। পাশাপাশি বিজেপির স্থানীয় কয়েক জন নেতাও ফেরার।