দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলন নিয়ে একদিকে যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস তখন একই ইস্যুতে ফের কেন্দ্রকে বিঁধল শিবসেনা। এমনকী প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা কাণ্ডের রেশ ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেল উদ্ধবের দলকে। বুধবার দলীয় মুখপত্র সামানাতে বিজেপির বিরুদ্ধে রীতিমতো চাঁচাছোলা আক্রমণ করতে দেখা যায় সেনা শিবিরের তরফে।
শিবসেনার দাবি, প্রজাতন্ত্র দিবসে কোনোভাবেই ভারতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়নি। ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে বিজেপি। কৃষক আন্দোলনের মেরুদন্ড ভাঙতেই এই মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে পদ্ম শিবিরের তরফে। উল্টে লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে না পারার জন্য মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় শিবসেনাকে।
এই প্রসঙ্গে এদিন শিবসেনা মুখপত্র সামানাতে আরও লেখা হয়, ” বিজেপি প্রচার করছে প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছি বিজেপি। কিন্তু আদপে এটা মিথ্যা প্রচার। প্রতিবাদী কৃষকদের কোণঠাসা করতেই এই অপপ্রচেষ্টা। হ্যাঁ এটা সত্যি যে কিছু প্রতিবাদী কৃষক আইন ভেঙেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু গোটা কৃষক আন্দোলনটিই আসলে দেশ বিরোধী বলে যে প্রচার বিজেপি চালাচ্ছে তা ভুল। ”
এখানেই না থেমে সামানাতে আরও লেখা হয়, ” প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের প্রায় প্রতিটা ট্রাক্টরেই দেশের জাতীয় পতাকা লাগানো ছিল। কারণ তার দেশকে বিজেপির সাইবার সেলের থেকে অনেক বেশি ভালোবাসে। আদপে আসল অপমান হচ্ছে সীমান্তে। জীবন পণ করে সীমান্তে দেশ রক্ষার জন্য লড়াই করছে ভারতীয় সেনা জওয়ানেরা। তাদের মধ্যেই অনেকেই এই কৃষক পরিবারের সন্তান। সেখানে এই কৃষকদের বিরুদ্ধে কী ভাবে এই মিথ্যা প্রচার চলতে পারে। ”
এদিকে প্রতিবাদী কৃষকদের ঠেকাতে ইতিমধ্যেই দিল্লির তিন সীমান্তে দুর্ভেদ্য ব্যারিকেড তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ। কোথাও দেওয়া হয়েছে কাঁটাতার, কোথাও পোঁতা হয়েছে পেরেক, আবার কোথাও তোলা হয়েছে কংক্রিটের পাঁচিল। যা নিয়েও সরব হয়েছে শিবসেনা। তাদের দাবি এই তৎপরতা লাদাখে দেখালে চিনা সেনার আগ্রাসন ঠেকাতে অনেকটাই কাজ হত। চিন যখন ভারতীয় ভূখন্ডের বিস্তৃর্ণ অঞ্চলকে তাদের ‘বাবার জমি’ ভেবে বসে রয়েছে তখন ভারতের তৎপরতা কোথায় ?