দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় দাঙ্গা বাঁধানোর ছক কষেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়! আজ, রবিবার এই অভিযোগই তুললেন তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রাজীবকে দলে না নেওয়াই উচিত বলে মনে করেন কল্যাণ। তবে দলনেত্রী কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তিনি তার বিরোধিতা করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের এই আইনজীবী-সাংসদ।
ভোটের আগে আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড় কেন্দ্রের টিকিটও পেয়ে যান। ২০১৬র বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুল প্রতীকে দাঁড়িয়ে যে ডোমজুড়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন রাজীব, পদ্ম প্রতীকে সেখানেই গোহারা হারেন। এর পরেই রাজীব ঘরওয়াপসির তোড়জোড় শুরু করে দেন বলে অভিযোগ। গতকাল, শনিবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন রাজীব। সেখানে তৃণমূলে ফেরার আবেদন জানান। কুণাল রাজীবের আর্জির কথা দলনেত্রীকে জানাবেন বলে জানিয়ে দেন।
তবে কুণালের তৃণমূলে ফেরার পথ খুব একটা মসৃণ নয়। কারণ, ইতিমধ্যেই ডোমজুড়ে রাজীবকে গদ্দার, মিরজাফর ইত্যাদি বিশেষণে ভূষিত করে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তাঁকে দলে ফেরাতে আগ্রহী নন হাওড়ার কোনও নেতাই। মন্ত্রী অরূপ রায় কিংবা সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রাজীবকে তৃণমূলে ফেরানোর প্রয়োজন নেই।
তবে রাজীব সম্পর্কে বিস্ফোরক খবরটি প্রকাশ করেছেন সাংসদ তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ভোটের আগে বাংলায় দাঙ্গা লাগানোর ছক কষেছিলেন রাজীব। এখন খুব ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলছেন না! ১০ এপ্রিল নির্বাচন হল। ঠিক তার পাঁচ দিন আগে বাঁকড়ায় কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের এনে মিছিল করে রায়ট বাঁধানোর চেষ্টা করেছিলেন রাজীব। পর্যবেক্ষকদের নির্দেশে পুলিশ সেই মিছিল আটকে দেয়। সেদিন রাজীব মিছিল করলে বাঁকড়ায় দাঙ্গা লেগে যেত!