দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা ভাগের চক্রান্ত করা হচ্ছে! ফের একবার বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের। গত কয়েকদিন আগে বিজেপি সাংসদ জন বার্লার একটি মন্তব্য ঘিরে তীব্র সমালোচনা-বিতর্ক তৈরি হয়। সাংসদের দাবি ছিল, উত্তরভাগের। যা নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিজেপির বাংলা ভাগের রাজনীতি কখনই বাংলার মানুষ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
এই মুহূর্তে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। প্রায় ৭২ জন বিধায়ককে নিয়ে শুক্রবার শক্তিপ্রদর্শন করেছে বিজেপি। এই অবস্থায় সরকারের উপর চাপ বাড়াতে চায় বঙ্গ বিজেপি। কীভাবে? সেই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতেই বৈঠক হয় বিজেপিতে। শুধু তাই নয়, বিধায়কদের কি করনীয় আর কি না সেই বিষয়ে একটা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর বিজেপির এই পদক্ষেপকে তীব্র কটাক্ষ করলেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তাঁর মতে, প্রশিক্ষন কীসের? কারা শিক্ষা দিচ্ছেন বিধায়কদের?
বাংলা ভাগের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে! বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি, যারা সংসদীয় রীতি মানে না তাঁদের আবার কীসের প্রশিক্ষণ। বাংলা ভাগের চক্রান্ত করার জন্যেই বিধায়কদের প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসেন সুখেন্দু শেখর রায়। রাজনৈতিকমহলের মতে, আগামিদিনে এই ইস্যুতে পাল্টা বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে চলেছে শাসকদলও। আর সেটিকে নতুন করে উস্কে দিলেন তিনি। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
ভোটের পর থেকে বাংলাতে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি। একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, এখনও বাংলাতে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে। এই বিষয়ে সরকার কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি বিজেপির। আর এই দাবিতে শনিবার রাক্যপালের ভাষণ চলাকালীন তীব্র বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। তাদের দাবি, সরকারের লিখে দেওয়া রাজ্যপালের ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলা নেই। উত্তরে এদিন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, বিজেপি হিংসার রাজনীতি করছে। বিভিন্ন জায়গাতে অশান্তির বাতাবরণ তুলে ধরে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের।
করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে রাজ্যে। এই অবস্থায় সাত বিধানসভা উপনির্বাচন করতে চায় রাজ্য। গত কয়েকদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন করেন যে, এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন করে ফেলতে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের তরফেও রাজ্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সুখেন্দুশেখর রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ভোটের সময় করোনা বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল। শেষ চারদফা একসঙ্গে করতে বলেছিলাম, শোনেনি। এখন করোনা এই রাজ্যে ২%। ফলে ওদের পাগলের প্রলাপ মানছি না। আশা করি দ্রুত উপ নির্বাচন হবে বাংলাতে হবে বলেই এদিন আশা প্রকাশ করেছেন সাংসদ।