দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও প্রাথমিক স্কুলে বাসি রুটি খেতে দিয়ে, কখনও হুইলস ব্লোয়ারকে গ্রেফতার করে শিরোনামে এসেছে যোগী সরকার ও প্রশাসন। এবার কোভিড আবহে শুধু দেশ নয়, বিদেশেও সমালোচনার মুখে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। গঙ্গায় ভেসে চলেছে কোভিডে মৃতের লাশ। সেই দেখে শিউরে উঠেছেন নেটনাগরিকরা।
আগামী বছরই ভোট দেশের সবথেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। তার আগে বেশ বিপাকে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। কারণ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মনে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, শাসকদলের নেতা–মন্ত্রীদের মধ্যেও। সেই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে। তাই আর চুপ করে বসে থাকতে চাইছে না বিজেপি–র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, পাশাপাশি রাজ্যে বাকি বিজেপি নেতা–মন্ত্রীদেরও মতামত মন দিয়ে শুনছে তারা।
তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামলেন দুই বিজেপি নেতা ডিএল সন্তোষ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাধামোহন সিং। সোমবারই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন লখনউতে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলার পর দুই উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এর পরই তাঁরা রাজ্যের নেতা–মন্ত্রীদের মতামত জানতে চান। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন। নির্দেশ দেন, কোভিড রুখতে বিজেপি কী কী করেছে, তাঁরা যেন জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করেন।
দিন কয়েক আগেই যোগী সরকারের দিকে আঙুল তোলেন সীতাপুরের বিজেপি বিধায়ক রাকেশ রাঠোর। বলেন, ‘আমি অনেক কিছুই করতে চেয়েছি। কিন্তু বিধায়কের আর কতই বা ক্ষমতা রয়েছে? বেশি কিছু বললেই আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের চার্জ লাগানো হবে।’ এর পরেই প্রকাশ্যে আসে বিজেপি–র নীচুতলার নেতা–মন্ত্রীদের ক্ষোভ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র গোরখপুরেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে কঠিন যুদ্ধে পড়তে হয়েছে বিজেপি–কে। ৬৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি আর সপা— দু’ দলই পেয়েছে ২০টি করে। নির্দল পেয়েছে ২৩। রাম মন্দির নির্মাণের সূচনা করেও অযোধ্যায় ৪০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬টিতে জিতেছে বিজেপি।