Thursday, April 18, 2024
Latest Newsফিচার নিউজরাজ্য

৯ লক্ষ টাকা বিল মেটাতে পারেনি পরিবার, করোনায় মৃত দেহ না দেওয়ার অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বিল মেটাতে পারেনি পরিবার। সেই কারণে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও করোনায় মৃতের দেহ ছাড়ল না দুর্গাপুরের বেসরকারী হাসপাতাল। সেই সঙ্গে সরকারি পোর্টালে তুলল না মৃতার নামও। অন্যদিকে কলকাতায় করোনায় মৃতের দেহ বদলের অভিযোগ উঠল বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিজনরা।

জানা গিয়েছে, ১২ মে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কাঁকসার বামুনাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন বাঁকুড়ার সোনামুখির বাসিন্দা উমারানী বারুই। ৩১ মে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৯ লক্ষ টাকার একটি বিল ধরায় পরিবারকে। এই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকায় রফা করে পরিবার। সেই টাকা দিয়েও দেয়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, টাকা মেটানোর পর দেহ আনতে গেলে হাসপাতাল নানা টালবাহানা করে। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে যেতে বলা হয়। সেইমতো এদিন সকালে গেলে জানানো হয়, পুরো টাকা না পেলে মৃতদেহ ছাড়া হবে না।

 

এরপরই মায়ের মৃতদেহের দাবিতে অতনু বারুই স্থানীয় মলানদিঘি ফাঁড়ি ও দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন। সে সময়ই মৃতার পরিবার জানতে পারে যে, সরকারি পোর্টালে ওই মহিলার মৃত্যুর কোনও তথ্যই নেই। অথচ নিয়ম মাফিক কোভিডে মৃত্যু হলে সরকারি পোর্টালে তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। কারণ, এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। অতনুবাবুর অভিযোগ, “পুরো টাকা পায়নি বলে হাসপাতাল মৃত্যুর ঘটনা চেপে যাচ্ছে। মৃত্যুর পর চব্বিশ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চরম হয়রানি করছে আমাদের।” দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অর্ঘ্য প্রসূন কাজী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি। অন্যদিকে কলকাতায় লেকটাউনের হাসপাতালে করোনায় মৃতের দেহ বদলের অভিযোগ। পরিবারের দাবি, প্লাস্টিকে মুড়ে দেহ দিতেই সন্দেহ হয় তাঁদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পারেন, দেহটি তাঁদের প্রিয়জনের নয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার হাসপাতাল চত্বর। শেষ পাওয়া খবর অনিযায়ী এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

Leave a Reply

error: Content is protected !!