দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:
বিপর্যয়ের পর বিপর্যয় নেমে আসছে জঙ্গলমহলে বিজেপির ঘাড়ে। বিধানসভা নির্বাচনের পর দল ছাড়ার হিড়িক যেমন পড়ে গিয়েছিল, তেমনি একের পর এক পঞ্চায়েত বোর্ড হাতছাড়া হতে শুরু করেছে বিজেপির ভাঁড়ার থেকে। এবারে ঝাড়গ্রাম জেলার রোহিণী গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়ে গেল বিজেপির। মোদী সরকারের পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে, বিজেপি নির্বাচিত তিন পঞ্চায়েত সদস্য রবিবার তৃণমূলের গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্র নাথ মাহাতোর হাত ধরে তাঁদের শতাধিক কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে পেট্রোপণ্যের প্রতিবাদ মঞ্চে এসে যোগদান করলেন। আর যোগদানের পরেই সংখ্যালঘু হয়ে গেল বিজেপি। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণী অঞ্চলে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৩ টি আসনের মধ্যে ৭ টিতে জয়লাভ করে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছিল বিজেপি।
এদিন বিজেপি সদস্যরা দলে যোগদান করায় সংখ্যাগুরু হয়ে গেল তৃণমূল। তৃণমূলের বর্তমান সদস্য সংখ্যা এদিনের পর দাঁড়াল ৯। আগামী সপ্তাহে পঞ্চায়েত বোর্ড ভেঙ্গে দিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব বিডিও অফিসে দাখিল করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য এবং বিজেপির দলত্যাগী সদস্যরা।
দলত্যাগী বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, ২০১৮ সাল থেকে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা সত্ত্বেও দলের অভ্যন্তরীণ কারণে কোনও উন্নয়ন তাঁরা করতে পারেননি। তাঁদেরকে দল কোনও সম্মান প্রদান করেনি। তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন মানুষের কাজের জন্য, অথচ সেই কাজ করতে না পারায় তাঁরা এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। দলত্যাগী বিজেপি সদস্যরা আশাবাদী এবার তাঁরা মমতা ব্যানার্জির হাত ধরে মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেবেন।