দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি মসজিদকে রাম মন্দিরে পরিণত করার পর গত বছর সুপ্রিম কোর্টের রায় অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব দেয় ট্রাস্টকে। অযোধ্যার সোহাভাল তহসিলের ধাননিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমিতে প্রস্তাবিত মসজিদের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তারাই মসজিদের নকশা প্রকাশ করেছে। আগামী বছর শুরুর দিকে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। মসজিদের পাশাপাশি একটি হাসপাতালও থাকবে। দ্বিতীয় দফায় হাসপাতাল বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। গত বছরের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ডকে বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের শহরাঞ্চলে এই জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
শনিবার সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দ্বারা গঠিত ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ) জানিয়েছে, মসজিদের নাম এখনও ঠিক করা হয়নি। তবে কোনও সম্রাট বা রাজার নামে এই মসজিদের নামকরণ করা হবে না। অযোধ্যায় মসজিদ তৈরির দায়িত্বে থাকা ওই সংগঠনই এ দিন মসজিদ চত্বরের নীল-নকশা প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, ঐতিহ্য মেনে মসজিদের মাথায় বিশালাকার গম্বুজ থাকলেও, তা আদ্যোপান্ত পাশ্চাত্য স্থাপত্যের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। মসজিদের মূল ভবনটিও আধুনিক স্থাপত্যেরই নিদর্শন। মসজিদ চত্বরে থাকছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও।
Today at the Press Conference of Trust members and Architect Prof S M Akhtar, the design of the Mosque and Hospital was unveiled. @athardesi @FaruqiZufar #ayodhyamosque pic.twitter.com/Iy4vn6SLVI
— INDO-ISLAMIC CULTURAL FOUNDATION (@IndoIslamicCF) December 19, 2020
প্রস্তাবিত হাসপাতালটির যে নকশা তুলে ধরা হয়েছে, শহরের ঝাঁ-চকচকে বিল্ডিংগুলি তার কাছে হার মানতে বাধ্য। মসজিদ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা মুখ্য আর্কিটেক্ট এসএম আখতার বলেন, ‘‘হাসপাতালে ৩০০ বেডের ব্যবস্থা থাকবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আনা হবে। মসজিদে একসঙ্গে মানুষ নমাজ পড়তে পারবেন। গোটা মসজিদটি সৌরশক্তিচালিত হবে। মসজিদের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর ব্যবস্থা থাকবে।’’ এ ছাড়াও মসজিদের জন্য বরাদ্দ পাঁচ একর জমিতে কমিউনিটি কিচেন এবং গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি। দুঃস্থ মানুষদের সেখানে দু’বেলা খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।
कुछ इस तरह नजर आएगी अयोध्या मस्जिद। @IndoIslamicCF ने जारी किया मस्जिद व हॉस्पिटल का डिजाइन pic.twitter.com/wNJyYaoA19
— Shobhit Srivastava (@shobhit81) December 19, 2020
ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আথার হুসেন বলেন, “২৬ জানুয়ারি থেকে মসজিদ নির্মাণের কাজ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে মানচিত্র অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে আপাতত শুধু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে।