দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন বেআইনিভাবে কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে আটকে রেখেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কাপ্পানের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আনা শান্তিভঙ্গের অভিযোগ খারিজ। কাপ্পানের অন্য তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খারিজ করেছে উত্তরপ্রদেশের এক আদালত। এদের বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গের অভিযোগ আনলেও গত ৬ মাসের মধ্যে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি যোগীরাজ্যের পুলিশ। যার ফলে ৬ মাস পর কেরলের ওই সাংবাদিক কলঙ্কমুক্ত হলেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ অক্টোবর হাথরসের নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে চার সঙ্গী-সহ কাপ্পানকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পিএফআই নামক নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য সন্দেহে মুজফফরনগরের আতিউর রহমান, বাহরাইচের মাসুদ আহমেদ, রামপুরের আলম নামের তিনজনও গ্রেপ্তার হন। পুলিশের দাবি, বাড়ির ঠিকানা-সহ নানা বিষয়ে কাপ্পান মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের দাবি, পিএফআই এবং তাদের ছাত্র শাখার অন্য কর্মীদের সঙ্গে হাথরস যাচ্ছিলেন কাপ্পান। তাঁদের কাছে আপত্তিকর সামগ্রী ছিল। ওই এলাকার শান্তিভঙ্গ করাই আসল উদ্দেশ্য ছিল কেরলের ওই সাংবাদিকের। কাপ্পানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ইউএপিএ ধারায় মামলা করে যোগী সরকার। যার ফলে দীর্ঘদিন জামিনও পাননি কেরলের ওই সাংবাদিক।
কিন্তু মঙ্গলবার আদালতে সরকারপক্ষের আইনজীবী জানিয়ে দেন, ৬ মাসের সময়সীমা পেরনোর পরও কাপ্পানের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। ফলে, কাপ্পানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিম্ন আদালত খারিজ করে দেয়। মথুরার ওই আদালত জানিয়েছে, কাপ্পানকে যে ধারায় আটক করা হয়েছিল, সেই ধারা অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হত। কিন্তু পুলিশ যেহেতু ৬ মাসে তদন্ত শেষ করতে পারেনি, তাই এই মামলা খারিজ করা হচ্ছে। কেরলের ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আর কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। প্রসঙ্গত, সাংবাদিক কাপ্পানের গ্রেপ্তারি নিয়ে এর আগে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। মামলা প্রত্যাহার হওয়ায় যোগী সরকারের ভাবমূর্তি যে ধাক্কা খেল, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।