দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ মতুয়াদের। যার ফলে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে হঠাত্ মালদার ৩ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করল মতুয়ারা। জানা যাচ্ছে মালদা জেলার মালদা, ইংরেজবাজার ও গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে মতুয়া সম্প্রদায়।
যদিও মতুয়ারা প্রার্থী দিলেও গেরুয়া শিবিরের ভোট ব্যাঙ্কের ওপর তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না দাবি করছেন জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল। এদিকে মুতুয়া তাঁদের সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি মালদা জেলার তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকারের। দুলালবাবু বলেন, লোকসভা ভোটে মিথ্যে কথা বলে ভুল বুঝিয়ে মতুয়াদের ভোট পেয়েছিল বিজেপি। তবে মতুয়ারা তৃণমূলের সঙ্গে আছে তৃণমূলের সঙ্গেই থাকবে বলে দাবি করেন তিনি।
মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের দিকে নজর বিজেপি ও তৃণমূল দুই শিবিরেরই। কিন্তু উত্তরবঙ্গের মতুয়ারা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন বলে সরব হয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশ। আসন্ন বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে মতুয়াদের কাউকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তাই উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করল তারা। মালদার তিনটি আসনে চলছে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি। গাজোল, মালদা ও ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে মতুয়া সম্প্রদায়। সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক রঞ্জিত সরকার বলেছেন,”উত্তরবঙ্গের মতুয়াদের প্রতি বঞ্চনা করা হয়েছে। তাই উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে মতুয়া মহাসংঘ। মালদা জেলার তিনটি আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে।” এদিকে রাজ্যে ভোটপর্ব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোট। হাতে সময় অল্প থাকায় জেতার সম্ভাবনা যে নেই তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন রঞ্জিতবাবু। তবে কিছু আসনে মতুয়ারা নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেই মন্তব্য তার।
এদিকে মালদা জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল মন্তব্য করেছেন, “প্রার্থী দেবে কি দেবেন না এটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। তবে মতুয়ারা প্রার্থী দিলেও খুব বেশি প্রভাব বিজেপিতে পড়বে না।বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এর পেছনে তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও বিজেপির তোলা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মালদা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “মতুয়াদের মিথ্যে কথা বলে ভুল বুঝিয়ে লোকসভা নির্বাচনে কিছু ভোট পেয়েছিল বিজেপি। এখন ওরা বুঝতে পেরেছে। তাই ওরা তৃণমূলের সাথে ছিল. তৃণমূলের সাথেই থাকবে।”