দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকে ‛পিএম কেয়ার্স ফাণ্ডের’ হিসেব চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তার একদিন পরেই অর্থাৎ সোমবার কংগ্রেস নেতা এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের তথ্য জনসাধারণকে জানালেন।
রাহুল ট্যুইট করেছিলেন, ‛পিএম কেয়ার্স ফাণ্ডে পাবলিক সেক্টর সংস্থা, সরকারী সংস্থা এবং রেলপথের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সুনিশ্চিত করা উচিত যে, পিএম কেয়ার্স ফাণ্ড অডিট করা হয়েছে এবং সেই অর্থ কোথায় থেকে এসেছে এবং কোথায় ব্যয় করা হয়েছে। এ সম্পর্কে জনগণকে হিসাব দেওয়া উচিত।’
পিএম কেয়ার্স ফাণ্ডে কোটি কোটি জমা হয়েছে। দেশের আমজনতা থেকে শুরু করে ধনী শিল্পপতিরা করোনার এই যুদ্ধে উদারভাবে দান করেছেন। সরকার যখন জনসাধারণের, তখন পিএম কেয়ার্স ফাণ্ডে জমা হওয়া অর্থও জনসাধারণের জানা উচিত। যে কারণে লোকেরা এখন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পিএম কেয়ার্স ফাণ্ডের তথ্য জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে বলছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এখনও জনসাধারণের অর্থ জনসমক্ষে আনেননি। তবে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল তাঁর সরকারের পুরো হিসাবটি প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনার পর কংগ্রেস নেতা অখিলেশ প্রতাপ সিং পিএম কেয়ার্স ফাণ্ডে বড় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, ‛মুখ্যমন্ত্রী কাগজ দেখালেন। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, কাগজ আমি দেখাব না। কিছু একটা ব্যাপার আছে। বড় কোন দুর্নীতি আছে!!
উল্লেখ্য, মোদী সরকার আগেই এই পিএম কেয়ার্স ফাণ্ডের অডিট করতে অস্বীকার করেছে। যার অর্থ পিএম কেয়ার্স ফাণ্ডে কত টাকা এসেছে, কোথায় এটি ব্যয় হয়েছিল, কেন এটি ব্যয় করা হয়েছিল তার উত্তর দেওয়া হবে না। যদিও আগে থেকেই একটি প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল ছিল যা প্রতি বছর অডিট হয়। তাহলে প্রধানমন্ত্রী মোদী কেন নতুন করে পিএম কেয়ার্স ফাণ্ড তৈরি করলেন তা কল্পনাতীত!
Support Free & Independent Journalism