দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে আছড়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন, ওষুধের পাশাপাশি আর্থিক সংকটে পড়েছে দেশ। কিন্তু মহামারীর সময়ও ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর জন্য নতুন ভবন তৈরির কাজ জারি রাখা হয়েছে। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ একাধিক প্রকল্প। সেক্ষেত্রে দেশ যখন চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই বাড়ি তৈরি এবং নতুন সংসদ ভবনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এই ভিস্তা প্রকল্পকেও। দেশ যখন করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছে তখন প্রধানমন্ত্রীর নতুন আবাসন নির্মাণ সহ এই প্রকল্পে আদৌ কী কোনও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই পুরো প্রকল্পটিতে খরচ হচ্ছে ১৩ হাজার ৪৫০ কোটি এবং এই কাজে নিয়োগ করা হবে ৪৬ হাজার জনকে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যে সমস্ত বিল্ডিংগুলি তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা,তার মধ্যে একটি প্রধানমন্ত্রীর এবং আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে উপরাষ্ট্রপতির বাসভবনটিও তৈরি হয়ে যাবে।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই দিল্লিকে নতুন করে সাজাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে যখন দেশের হাল বেহাল, তখন কেন স্থগিত রাখা হচ্ছে না এই প্রকল্প উঠছে প্রশ্ন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠেছেন নেটনাগরিকরা।
সিপিআইএম এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন, যেখানে লিখেছেন, ‘এটা লজ্জাজনক যে এই প্রকল্পে এগিয়ে যাচ্ছেন মোদী। নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজ বন্ধ হচ্ছে না যখন গোটা দেশ যন্ত্রণায় আছে এবং দেশবাসীর সাহায্যের প্রয়োজন। নতুন বিল্ডিং তৈরির কাজ স্থগিত রাখা যেতে পারে। কিন্তু এই টাকাই সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজে লাগবে।’
২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পূর্তির দিন নতুন সংসদ ভবনটির উদ্বোধন করতে চান মোদী। ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন তিনি বলেছিলেন, ”আজ একটা ঐতিহাসিক দিন। আজ এমনটা একটা দিন যেন ভারতেরই ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হল। বর্তমানের সংসদ ভবন যদি ১৯৪৭ সাল থেকে স্বাধীন ভারতকে দিশা দেখিয়ে থাকে, তাহলে সংসদের নতুন ভবন একটি নতুন ও আত্মনির্ভর ভারতের একটা সাক্ষ্য হয়ে উঠবে।’