দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে বামেদের। ভোটে শোচনীয় হারে দলকেই দোষারোপ করেছিলেন তিনি। যার জেরে প্রাক্তন বিধায়ক তথা দমদম উত্তরের সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যকে শোকজ করল সিপিএম। চিঠি পাঠিয়ে তাঁকে আচরণের কারণ ব্যাখ্যা করতে বলল সিপিএম জেলা কমিটি। যদিও এ নিয়ে তন্ময় ভট্টাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বুধবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির তরফে শোকজ নোটিস পাঠানো হয় তন্ময় ভট্টাচার্যকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২৯২ আসনের মধ্যে একটিতেও জয়লাভ করতে পারেনি সিপিএম। ফলত উত্তর দমদম কেন্দ্র থেকে হেরেছেন তন্ময়ও। তিনি তৃতীয় স্থানে। তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জয়ী, দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি প্রার্থী অর্চনা মজুমদার। এরপর অবশ্য তন্ময় রাজনৈতিক সৌজন্য মেনে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তাতেও বিশেষ দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ছিল না। তবে এক টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনাচক্রে বসে তিনি হারের জন্য দলকেই প্রকারান্তরে দায়ী করেছিলেন। এমনকী তরুণ প্রার্থীদের এই বিপর্যয়ের নেপথ্যেও আলিমুদ্দিনের ভোটকর্তারাই দায়ী, এ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছিল। পাশাপাশি, তাঁকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, এই বিপুল জনরায়কে মেনে নিতে না পারলে পরিণত রাজনীতিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় না দেওয়াই ভাল। এসবের পর জেলা নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়েন তন্ময়।
জেলা কমিটি অবশ্য চিঠিতে উল্লেখ করেছে, এসব তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। দল তা অনুমোদন করে না। তবে কেন দলের এতদিনকার নেতা আচমকা এ কথা বলে বসলেন, তা নিয়ে তাঁকে জবাবদিহিও করতে হবে। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয় জেলা কমিটির তরফে। প্রসঙ্গত, সিপিএম তথা যে কোনও বাম দলেই শৃঙ্খলার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সামান্যতম শৃঙ্খলাভঙ্গেও দলীয় সদস্যদের শাস্তির মুখে পড়তে হয়। এর আগে অনেক সিপিএম নেতার ঘাড়েই শোকজ, বহিষ্কারের খাঁড়া নেমেছে। এবার তন্ময় ভট্টাচার্য। তবে এ নিয়ে তিনি এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। শোকজের জবাবে তিনি কী ব্যাখ্যা দেন, সেটাই দেখার।