দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:
রাজ্যপাল ধনকর কোনও মন্তব্য করলে প্রায় প্রথমেই জবাব দেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। রাজ্যপাল ধনকরকে আঙ্কেরজি বলেই সম্বোধন করেন মহুয়া। এবার রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়েও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। আঙ্কেলজি দিল্লিতে গিয়ে দাদুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করেছেন তিনি।
রাজ্যপালের দিল্লি সফরকে নিশানা করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, আগামীদিন রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৎপরতা আরও বাড়বে। টোশি পাঠানো থেকে তদন্ত এবং প্রশাসনকে অনবরত বিরক্ত করা সবই থাকবে সেখানে। কেন এঁরা এতটাই প্রেডিক্টেবল, প্রশ্ন করেছেন মহুয়া।
টুইটে মহুয়া মৈত্র একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে জগদীপ ধনকর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ মিশ্রের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিচ্ছেন। সেই ছবি দিয়ে করা টুইটের শুরুতেই মহুয়া লিখেছেন আঙ্কেলজি মিটস দাদু।
মহুয়া মৈত্র রাজ্যপাল ধনকরকে আক্রমণ করেন আঙ্কেলজি বলেই। গত নভেম্বরে রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ সফরে গেলে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। তার জবাব দিতে গিয়ে মহুয়া বলেছিলেন, গার্ড অফ অনার দেওয়া থেকে অনেক জরুরি কাজ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যপালকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে। মূলত রাজ্যপালের নিশানায় রাজ্য প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে পাল্টা মহুয়া মৈত্র রাজ্যপালের ওএসডি পরে ছয়জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। রাজ্যপাল তার জবাবে বলেছিলেন এই অভিযোগ মিথ্যা।
১৫ জুন সন্ধেয় দিল্লি যান রাজ্যপাল। ঠিক ছিল তিনি ১৮ জুন কলকাতায় ফিরবেন। কিন্তু তা হয়নি। জানা গিয়েছে, শনিবার তিনি ফের একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কলকাতায় ফেরার আগে রাজ্যপাল ফের একবার অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রদকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে অনুমতি মিললেও, এখন সময় জানা যায়নি। তবে প্রশ্ন উঠছে কী এমন প্রয়োজন পড়ল যে রাজ্যপাল ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে রাজ্যপাল এবারের দিল্লি সফরে প্রথমে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারপর তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন। এরই মধ্যে দিল্লিতে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ মিশ্রের বাড়িতেও যান। রাজ্যপালের তরফ থেকে এই সাক্ষাৎকারকে সৌজন্য সাক্ষাত বলে বর্ণনা করা হলেও, তৃণমূল তা মানতে নারাজ।