দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কের শিরোনামে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ। যোগীরাজ্যে অব্যাহত দলিত নিগ্রহ। এবার ৬৫ বছরের এক প্রৌঢ়কে বেধড়ক মারধরের পর জোর করে প্রস্রাব পান করনোর চেষ্টা হল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরের রোড়া গ্রামের ঘটনা। দিন কয়েক আগে অভিযুক্ত সোনু যাদবের নামে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ় অমর এবং তাঁর ছেলে। সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্যই বাবা–ছেলেকে চাপ দিতে থাকে সোনু। বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলে। রাজি হননি অভিযোগকারীরা। মঙ্গলবার অমরকে লাঠিপেটা করে সোনু। মুখে ঢালতে যায় প্রস্রাব।
এদিন অমর এএনআই–কে জানালেন, ‘আমায় প্রস্রাব খেতে বলে সোনু। রাজি হয়নি। তখন লাঠি দিয়ে পেটায়। দিন কয়েক আগে আমার ছেলেকে কাস্তে দিয়ে মারতে এসেছিল সোনু। তার পরেই থানায় গিয়ে তার নামে অভিযোগ করি। ও বিষয়টা মিটিয়ে নিতে জোর করছে।’
ললিতপুরের এসপি মির্জা মনজর বেগ জানালেন, এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। তাঁর কথায়, রোড়া গ্রামে কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যক্তি দুই গ্রামবাসীকে মারধর করেছে। খবর শুনে এফআইআর করেছে পুলিশ। প্রধান অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। কোনও নিগ্রহ, দমন সহ্য করা হবে না।
১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশেরই হাথরসে এক দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় চার উচ্চবর্ণের যুবক। পরে হাসপাতালে মারা গেছেন ২০ বছরের তরুণী। মাঝরাতে পরিবারকে আটকে তরুণীর দেহ পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। সেই নিয়ে উত্তাল দেশ।