দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: আলিগড়ে বিষমদ খেয়ে ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে ১১ জনের মৃত্যুর খবর স্পষ্ট করা হয়েছে।তবে এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষ মদ খেয়েই এই এত জনের মৃত্যু হয়েছে।এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।এদের মধ্যে গোটা ঘটনার পাণ্ডা অনিল চৌধুরীও ধরা পড়েছেন।
ইতিমধ্যে গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির আলিগড়ের বিধায়ক আমিরুল্লা দাবি করেছেন, এই ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।তাঁর অভিযোগ, গত ৩ দিনে যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ওই সব দেহের ময়নাতদন্তের কাজ হয়নি।সমাজবাদী পার্টির তরফে অভিযোগ, উত্তর প্রদেশে একাধিক গ্রামে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা দরকার।বহুজন সমাজ পার্টির তরফেও এই একই অভিযোগ করা হয়।কংগ্রেসের তরফে প্রদীপ মাথুর জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আসলে অনেক বেশি মানু্য মারা গিয়েছে।স্থানীয় প্রশাসন পুরো ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।সরকারের মদতেই মদ মাফিয়ারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।সিনিয়র পুলিশ সুপার কালানিধি নৈথানি জানিয়েছেন, তাপ্পাল পুলিশ থানার ২ ইনস্পেকটরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।আগ্রার যুগ্ম আবগারি কমিশনার রবিশংকর পাঠককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।আলিগড়ের ডেপুটি আবগারি কমিশনার ও পি সিংকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।শুধু তাই নয়, আলিগড়ের পুলিশ কমিশনার গৌরব দয়ালের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।যারা এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।