দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কুম্ভমেলা ও হিন্দুত্বকে কাঠগড়ায় তুলে যেভাবে মোদি সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে টুলকিটের সাহায্যে তা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও অপরাধ। এমনই দাবি করলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। সম্প্রতি বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্যারিশমা ক্ষুণ্ণ করতেই গোপনে টুলকিট ব্যবহার করছে কংগ্রেস। বুধবার সেই টুলকিট নিয়েই সরব হতে দেখা গেল রামদেবকে।
গত এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল দেশ। আর দেশের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের ব্যর্থতা তথা নরেন্দ্র মোদিকেই দায়ী করেছে বিদেশি মিডিয়াগুলি। এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের দাবি, এর পিছনে রয়েছে কংগ্রেসের চক্রান্ত। তারাই গোপনে টুলকিটকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।
বিজেপির দাবি, টুলকিটটি তাদের হাতেও এসে পৌঁছেছে। সেখানে কংগ্রেসের লোগোও নাকি রয়েছে। বহু বিজেপি নেতা টুইট করে দাবি করেছেন, ওই টুলকিটে নাকি বলা হয়েছে, করোনার ভারতীয় স্ট্রেনকে ‘মোদি স্ট্রেন’ লেখা হোক। সেই সঙ্গে মহাকুম্ভকে ‘সুপার স্প্রেডার’ হিসেবেও বারবার উল্লেখ করতে হবে। এইভাবেই বিজেপি ও হিন্দুত্বকে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী করার পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস।
প্রথম ওই টুলকিটের প্রসঙ্গ তোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পরে অন্য নেতারাও একে একে এই অভিযোগ তুলতে থাকেন টুইটারে। বুধবার সেই টুলকিট প্রসঙ্গ উঠে এল রামদেবের কথাতেও। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘যারা এটা ছড়াচ্ছে তাদের আমি অনুরোধ করব, তারা রাজনীতি করুক কিন্তু হিন্দুদের অপমান যেন না করে। এই দেশ কিন্তু এদের ক্ষমা করবে না। সমস্ত জনতাকে আমার আরজি, আপনারা এদের বয়কট করুন ও এই ধরনের শক্তিগুলির বিরোধিতা করুন।’’
কংগ্রেস অবশ্য বিজেপির এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের পালটা দাবি, দেশে করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত অব্যবস্থাকে লুকতে চেয়েই এই ধরনের অভিযোগ তুলছে বিজেপি।