নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, চাঁচল : মালদা জেলার চাঁচল মহাকুমায় মহিলা কলেজের দাবিতে মানববন্ধন ও মহাকুমা শাসককে ডেপুটেশন প্রদান করল ছাত্র সংগঠন এসআইও। উপস্থিত ছিলেন এসআইও’ র মালদা জেলা সভাপতি ওমার আলি মোমিন, জেলা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষাঙ্গন সম্পাদক আব্দুল ওয়াকিল, জামাআতে ইসলামী হিন্দের মালদা জেলা সহ-সভাপতি সারিফ আলী।
এসআইওর জেলা সভাপতি ওমার আলি বলেন, “নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য চাঁচল মহকুমায় দ্রুত মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনজাতি অধ্যুষিত চাঁচল মহকুমায় মোট ব্লক সংখ্যা ছয়টি। তার মধ্যে মোট তিনটি ব্লকে একটি করে ডিগ্রী কলেজ রয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তদুপরি নেই কোনও মহিলা কলেজ। ২০১১-এর জনগণনা তথ্যানুসারে চাঁচল মহকুমায় ব্লকগুলির শিক্ষার হার রতুয়া ১ ও ২ যথাক্রমে ৪৬ শতাংশ ও ৪৫.৫৮ শতাংশ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ যথাক্রমে ৪৬.৯৬ শতাংশ ও ৫১.২৩ শতাংশ এবং চাঁচল ১ও ২ যথাক্রমে ৫৩ শতাংশ ও ৪৫.৯৬ শতাংশ। মোট গড় হলো ৪৮.১২ শতাংশ যা অর্ধেকের থেকেও কম। পরিকাঠামো হীনতা ও শিক্ষার সহজলভ্যতার বড় রকম অভাবই যে উত্তর মালদায় নারী শিক্ষার প্রধান প্রতিবন্ধক তা স্পষ্ট।”
রাজ্য সরকার নারী শিক্ষার জন্য কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ আরো বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু সেসব এর সম্পূর্ণ সুযোগ পাচ্ছে না উত্তর মালদার মেয়েরা। প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কুল ও কলেজ না থাকায় সরকারি জনমুখি প্রকল্পগুলি থেকে বাইরেই থেকে যাচ্ছে উত্তর মালদার বৃহৎ সংখ্যক মেয়ে। আবার পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে নারী শিক্ষা যেমন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তার সঙ্গে বাড়ছে বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতনের হার। মূলত নারী শিক্ষার শোচনীয় দশার কারণেই নারীরা প্রতিনিয়ত পারিবারিকভাবে ও সামাজিকভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এহেন অবস্থায় নারী শিক্ষার সুযোগ সহজলভ্য করতে হবে। এজন্য চাঁচল মহকুমার অধীনে অবিলম্বে অন্তত একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত প্রয়োজন।