Monday, October 7, 2024
Latest Newsআন্তর্জাতিকফিচার নিউজ

রিপোর্ট নেগেটিভ, তবু জোর করে খাওয়ানো হচ্ছে করোনা ওষুধ!

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরে চিন সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতন করছে। নানা ভাবে তাদের অত্যাচার করা হয়। ক্যাম্পে বন্দি করা, ধর্মীয় নেতাদের হত্যা করা, নারী ও শিশুদের তুলে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি রোজের ঘটনা। এবার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া সত্ত্বেও, তাঁদের জোর করে খাওয়ানো হচ্ছে করোনা ওষুধ। আদতে সেটা করোনা ওষুধ কিনা তা জানা নেই। ওষুধের গায়ে কোনও লেবেল নেই। ওষুধ গুলো ল্যাবে টেস্টও করা হয়নি। অথচ এমন একটা ওষুধকে করোনার ওষুধ বলে করোনা আক্রান্ত হয়নি এমন ব্যাক্তিকে খাওয়া হচ্ছে। চিন সরকার এই ধরনের অমানবিক আচরণ করছে শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুর মুসলিমদের উপর।

করোনাকালেও উইঘুর মুসলিম মহিলাদের গ্ৰেফতার করছে। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ নেই। এমনকি তাঁদের করোনাও হয়নি। এক মহিলা জানান, তাদের প্রত্যেকদিন জোর করে সিরাপ খাওয়ানো হয়। তার ফলস্বরূপ তিনি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছেন। প্রায়ই বমি হচ্ছে। হাত-পা সহ গোটা গায়ে জ্বালা-পোড়া হচ্ছে। আগে তাঁর এসব কিছুই হত না। এমনকি তিনি এও বলেন, সপ্তাহে একদিন উইঘুর মুসলিম মহিলাদের চোখ-মুখ বেঁধে উলঙ্গ করে দেওয়া হয়। তারপরে তাদের শরীরের কিছু একটা স্প্ৰে করা হয়। ক্যাম্পের রক্ষীরা বলে, জীবাণুনাশক স্প্ৰে করা হচ্ছে। কিন্তু আসলে এটা কি তাঁরা আদৌও জানেন না। এভাবে উলঙ্গ করে নারীদের ইজ্জত ও আবরু যেভাবে লুণ্ঠিত করা হচ্ছে, তা থেকে বর্বরতা ও পাশবিকতা আর কি হতে পারে।

তিনি এও জানান, উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। তবুও টানা দেড়মাস ধরে লকডাউন করে রাখা হয়েছে। অথচ করোনার আঁতুরঘর বলে পরিচিত হুবেই, উহান প্রভৃতি এলাকায় লকডাউন তো দূরের কথা, এমনকি স্কুল-কলেজ পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে যাঁদের করোনার কোন লক্ষণ নেই, তাদেরও ৪০-৪৫ দিন দিন ধরে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। বাড়ির বাইরে কাউকে বেরতে দিচ্ছে না পুলিশ। এতে তাদের রুজি-রুটি বিপদের মুখে পড়েছে। কিন্তু অমুসলিমদের উপর এভাবে স্বাস্থ্যবিধি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের ক্ষেত্রে এইসব ঐচ্ছিক ব্যাপার। এই পর্যন্ত মাত্র ৮২৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে শিনজিয়াং প্রদেশে।

 

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!