দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন দেননি, দুর্নীতিগ্রস্তদের চার্টার্ড বিমান? এভাবেই ফের কেন্দ্রকে একহাত নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসকদলে ভাঙন অব্যাহত। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে গিয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট নেতা। তাঁদের মধ্যে সাম্প্রতিকতম হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপক হালদার, প্রবীর ঘোষাল এবং বৈশালী ডালমিয়া। বুধবার আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে তাঁদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘যাঁরা লোভী এবং ভোগী আমরা তাড়াবার আগেই তাঁরা দল থেকে চলে গেছে বিজেপি–তে ভোগ করার জন্য। তাঁদের জন্য রাস্তা খোলা। চলে যান।’
আলিপুরদুয়ারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন পাঠাতে পারেননি। দুর্নীতিগ্রস্তদের চার্টার্ড বিমান পাঠাচ্ছেন।’ মুখ্যমন্ত্রীর আরও কটাক্ষ, ‘যে বেশি দুর্নীতি করেছে তাঁরা তো পালাবেই। তাঁদের পালাতে দিন। কে কী আমার খুব ভালভাবে জানা আছে। ওই লাফঝাঁপ সব বন্ধ হয়ে যাবে। বিধানসভার পর সব বুঝতে পারবে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিজেপি–কে একহাতে নিয়ে বলেন, ‘কোনও আসনে জিতবে না বিজেপি। সিপিএম–কংগ্রেসের কয়েকটা আসনে জিততে পারে। কিন্তু তৃণমূলের আসন ছিনিয়ে নেওয়া অত সহজ নয়।’
তাঁর কটাক্ষ, ‘বিজেপি দলটা তো লোভে ভরে গেছে। ভোগে মরে গেছে। দাঙ্গা করে করে পচে গেছে। আজ দেশকে বিক্রি করে দিয়েছে বিজেপি।’ মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘সোনার বাংলা চাই না, আমাদের অন্ন–বস্ত্র–বাসস্থান চাই।’ মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্লোগান তোলেন, ‘বিদায় দাও বিদায় দাও বিজেপি–কে বিদায় দাও। ফিরিয়ে দাও ফিরিয়ে দাও আমার মাতৃভূমি ফিরিয়ে দাও, আমার দেশ ফিরিয়ে দাও।’ তিনি এদিন শপথ নেন, ‘রাজ্য নয়, গোটা দেশ থেকে বিজেপি–কে তাড়াব।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন মনে করিয়ে দেন, ‘চা বাগানে আগে শ্রমিকদের ৫৭ টাকা মজুরি দেওয়া হত, এখন তা বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হয়েছে।’ জনসভায় উপস্থিত জনগণের কাছে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখানে সব আসনে জিতল বিজেপি। বলেছিল, বন্ধ চা বাগান সব খুলে দেবে। কিন্তু একটাও খুলেছে কি? কেন্দ্র সরকার অধিগ্রহণ করবে বলেছিল। কিন্তু করেছে কি? মোদীজি বলেছিলেন সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে। দিয়েছে কি?’