দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : বেশ কয়েক মাস ধরেই মাথা ও ঘাড়ের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বর্ধমানের কালনার নান্দাই গ্ৰামের বৃদ্ধা মালতী দেবনাথ। চিকিৎসা করাতে যান কালনা মহকুমা হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক জ্যোতির্ময় দাস।
অভিযোগ দাবি মতো ফি দিতে না পারায় দরিদ্র, অসহায় বৃদ্ধার প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে কেটে দেন ওই চিকিৎসক। এমনই অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মালতী দেবীর একমাত্র রোজগেরে ছেলে কর্মসূত্রে মুম্বাইয়ে থাকে। বৌমা ও নাতনিকে নিয়ে গ্ৰামেই থাকেন মালতী দেবী। তিনি গত ৪ ফেব্রুয়ারী চিকিৎসা করাতে যান চিকিৎসক জ্যোতির্ময় দাসের বৈদ্যপুর মোড়ের চেম্বারে।
এই দিন তিনি চিকিৎসকের ফি মিটিয়ে দেন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মত বেশ কিছু পরিক্ষা – নীরিক্ষা করে রিপোর্ট দেখাতে ফের জ্যোতির্ময় দাসের চেম্বারে যান মালতী দাসের এক প্রতিবেশী। রিপোর্টে জানা যায় মালতী দেবী ব্রেন স্ট্রোক ও স্পণ্ডাইলাইটিসে আক্রান্ত। সেই মতো প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লেখেন চিকিৎসক জ্যোতির্ময় দাস।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের বর্ষসেরা চিকিৎসক হিজাবপরা ফারজানা হোসেইন
অভিযোগ, এরপর ফি দিতে না পারায় ওষুধের নাম কেটে দেন জ্যোতির্ময় দাস। এই অমানবিক ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ক্ষুব্ধ কালনার মানুষ। এদিকে ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে বেপাত্তা চিকিৎসক জ্যোতির্ময় দাস।