দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের শক্তি পরীক্ষার জন্য ময়দানে নেমে পড়লো সিপিআইএম। ‘ফেরাতে হাল, ধরো লাল’ – এই স্লোগানকে সামনে রেখে মঙ্গলবার বর্ধমান শহরে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছিল তারা। এই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।
ক’দিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার রোড শো করে গিয়েছিলেন। সিপিআইএম নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করেছিলেন জে পি নাড্ডার রোড শোকে ছাপিয়ে যাবে মানিক সরকারের জনসভা। ভিড় ছাপিয়ে গিয়েছে কী যায়নি সেই বিতর্কে না ঢুকেও বলা যায় পূর্বতন বামদূর্গ বর্ধমান অনেকটাই পুরানো মেজাজে ছিল আজ। টাউন হলের ভিতরে দর্শকসংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ ছিল টাউনহল ময়দানের বাইরে।
সভা থেকে মানিক সরকার বলেন- “আপনাদের অনুরোধ করছি- ত্রিপুরার থেকে শিক্ষা নিন। বিজেপি নামক বিষকে গলায় নেবেন না। রাজ্যকে শ্মশানে পরিণত করবেন না।” কাটমানি নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বলেন- এখানে তৃণমূল কাটমানি খায় আর ত্রিপুরায় বিজেপির মন্ডল সভাপতিরা ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করে।”
তিনি আরও বলেন- “ত্রিপুরার ঘরে ঘরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কর্মচারীদের সপ্তম পে কমিশন দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ত্রিপুরাবাসী। পরবর্তী ভোটের জন্য অপেক্ষা করছে তাঁরা।”
একসময় আক্ষেপের সুরে তাঁকে বলতে শোনা যায়- “সোনার ডিমের জন্য হাঁসটা মেরে ফেলেছি, বলছেন ত্রিপুরাবাসী”। কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন- “দেশে গরিব, বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু কয়েকটি পরিবার মুনাফা লুটছে। কৃষক বিরোধী বিল পাস করে বড় বড় পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করছে বিজেপি সরকার। এরফলে কর্পোরেট সংস্থাগুলো সুবিধা পাবে।”