দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : পবিত্র রমযান মাস শেষে ঈদ উল ফিতর পালিত হয়েছে দেশজুড়ে। এই সময় সামর্থ্যবান মুসলিমরা ফিতরা ও সঞ্চিত সম্পদের (২.৫ শতাংশ) যাকাত দান হিসেবে দিয়ে থাকেন। কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে দেশে সামাজিক সুরক্ষা মেনে ঈদ পালিত হলেও দানের স্পিরিট বজায় রেখেছেন মহারাষ্ট্রের মুসলিমরা। রাজ্যটির ইছালিকারাঞ্জি টাউনের মুসলিমরা এবারের ঈদ পালন করলেন স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ দানের মাধ্যমে। আর এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েহে যাকাতের মাধ্যমেই, এমনটাই জানাচ্ছেন সেখানকার মুসলিমরা। কোভিড-১৯ রুখতে দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে মহারাষ্ট্র যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে পারে, তাই যাকাতের সাহায্যে হাসপাতালে এই পরিষেবা পরিকাঠামাে গড়লেন মুসলিমরা। আর তাদের এই অবদানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও।
এলাকার মুসলিমরা মােট ৩৬ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেন এবং আধুনিক ব্যবস্থা সহ ১০ বেডের ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটের ব্যবস্থা করেছেন ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়াল সিভিল হাসপাতালে। এটি এখন কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত বলে জানা গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে গত সােমবার পবিত্র ঈদের দিনে এই আইসিইউ পরিকাঠামােটির উদ্বোধন করেন। এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, এখানকার মুসলিমরা দেশের প্রতিটি জনগণকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমরা সাহস ও ধৈর্যের সঙ্গে করােনা ভাইরাস সংক্রমন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। সাধারণ জনগণের এতে অংশগ্রহণ করা খুবই দরকার। মুসলিমরা দেখিয়ে দিল, কীভাবে উৎসবকে সবার সঙ্গে উদযাপন করতে হয়। দেশে যে রাজ্যগুলিতে করােনা ভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, তার তালিকায় প্রথম থেকেই উপরের দিকে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তবে ইছালকাঞ্জিতে তুলনামূলকভাবে কম কেস দেখা গেছে। এখানে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ বাস করে যার মধ্যে ৭৮ শতাংশ হিন্দু ও ১৫ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের। অর্থাৎ, এই আইসিইউ থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষরাই বেশি লাভবান হবেন। তবে এই চিন্তা যাকাতের অর্থ দিয়ে হাসপাতালে পরিকাঠামাে তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।