দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : শুক্রবার শেষ রাতে বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল সেন্ট্রাল ফোর্স। পরিবারের লোকদের জাগিয়ে এনআইএর গোয়েন্দারা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কলেজ ছাত্র নাজমুস সাকিবকে। ডোমকলের গঙ্গাদাসপাড়া থেকে জঙ্গি সন্দেহে এভাবেই গ্রেফতার করা হয়েছে পাড়ার আপাত নিরীহ, মসজিদে আজান দেওয়া নাজমুসকে।
ছোট ভাই আল কায়দা জঙ্গি! কথাটা কোনও ভাবেই বিশ্বাস করতে পারছেন না রিজওয়ান আলি। তাঁর ছোট ভাই নাজমুস সাকিব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। বছর পঁয়ত্রিশের রিজওয়ান বারে বারেই বলে উঠছেন, ‘‘এ কথা বিশ্বাস করি না।’’ রিজওয়ান জানান, শুক্রবার রাত তিনটে চল্লিশ মিনিট নাগাদ বাড়ির দরজায় জোর আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। বাইরে বেড়িয়ে দেখেন পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলেছে সেন্ট্রাল ফোর্স। নিজেদের এনআইএর লোক বলে জানিয়ে দরজা খুলতে বলা হয়।
তিনি বলেন, ‘‘আমি গেট খুলে দিতেই আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা আমার ভাই নাজমুসকে তুলে নিয়ে চলে যায় কয়েকজন। এরপর ওর ঘর তল্লাশি করে বেশ কিছু বইপত্র, কাগজ সব নিয়ে যায়। আমাকে দিয়ে কিছু কাগজে সই করায়। তারপর চলে যায়। তখনও জানতাম না কী কারণে আমার ভাইকে গ্রেফতার করা হল। পরে টিভি দেখে জানলাম জঙ্গিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আমার ভাইকে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়েন্দারা নাজমুসের মোবাইল ফোন, চার্জার এবং রিজওয়ানের একটি বাতিল ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছেন। নিয়ে গিয়েছেন বেশ কিছু ধর্মীয় কাগজপত্রও। যদিও রিজওয়ানের দাবি, ‘‘ধর্মীয় কাগজ বলতে বাংলায় লেখা রাতে নামাজ পড়ার পদ্ধতি।’’ দাদা রিজওয়ান বলেন, “আমি কিছু বুঝতে পারছি না। যে ছেলে নিজের কলেজ-পড়াশোনা আর মসজিদে আজান দেওয়া ছাড়া আর কিছু জানত না তাকে কেন গ্রেফতার করা হল?’’