দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও চওড়া হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবা। বাড়ছে উদ্বেগ। করোনা দমনে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে এর আগে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এবার সরব হলেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে। রাহুলের অভিযোগ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে কেন্দ্র মুখে বড়সড় কথা বললেও আদপে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দেওয়া হচ্ছে না যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা। অন্যদিকে শনিবারে টুইটেও রাহুল দাবি করেছিলেন মোদি সরকারের অব্যবস্থার ফসল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। কেন্দ্রীয় সরকারের জন্যই এই দিন দেখতে হচ্ছে দেশবাসীকে। শুধুমাত্র মোদী সরকারের অকর্মণ্যতার কারণে কোভিডের সঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এবার কার্যত একই সুরে মঙ্গলবারের টুইটে কেন্দ্রকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন রাহুল।
এদিনের টুইটে রাহুল লেখেন, “ কালো ছত্রাকের মহামারি আদপে কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়ায়ে রয়েছে ? এই রোগের জীবনদায়ী ওষুধ আম্ফোটেরিকিন-বি এর ঘাটতির জন্য কী করা হচ্ছে, এবং রোগীদের ওষুধ দেওয়ার কী পদ্ধতি রয়েছে, সে সম্পর্কে সরকারকে পরিষ্কার করে বলা উচিত। শুধুমাত্র মুখেই কাজের কথা বললেও বাস্তবের মাটিতে কেন কোন কাজ হচ্ছে না?” এদিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে রাহুল কেন্দ্রকে একাধিক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করলেও এথনও কেন্দ্রের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে।
এদিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কামড় তীব্র হতেই রাজ্যে রাজ্যে এই রোগের জীবনদায়ী ওষুধ আম্ফোটেরিসিন-বি ঘাটতি চরমে ওঠে। শুরু হয় কালোবাজারি। যার জেরে উদ্বেগ বাড়তে থাকে আম-আদমির মধ্যে। এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী ডিভি সদানন্দ গৌড় সোমবার জানান প্রায় সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে অ্যাম্ফোটেরিকিন বি-এর অতিরিক্ত ৩০ হাজারের বেশি ভায়াল পাঠানো হয়েছে।