দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় এখনও প্রবেশ করেনি বর্ষা। কিন্তু ঝড়, নিম্নচাপের ফলে বর্ষা প্রবেশের আগেই ভেসে চলেছে বাংলা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আর এই নিম্নচাপের জেরেই ১১ থেকে ১৪ জুন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে রাজ্যে। মূলত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রভাব পড়বে এই নিম্নচাপের। এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে। উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় ঝড় বৃষ্টি হবে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। শহর কলকাতায় আকাশ আজ সকাল থেকেই রয়েছে কিছুটা মেঘলা। বিকেলের দিকে ঝড় বৃষ্টি নামার পূর্বাভাস রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রতিনিয়ত বৃষ্টির ফলে জোয়ারে বাড়বে জলস্ফীতি। আজ অমাবস্যা থাকায় ভরা কোটালের সময় গঙ্গায় বান আসতে পারে বলেও আগাম সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। উপকূলবর্তী জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ভারী বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ভয়ঙ্কর ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়। ভেঙে যায় একাধিক নদীবাঁধ। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে নদীবাঁধগুলি মেরামতির কাজও শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় সমস্ত কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। মৎসজীবিদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হচ্ছে। যেসমস্ত মৎসজীবিরা সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়েছেন তাঁদেরও ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অতিমধ্যেই মোহনায় শুরু হয়ে গিয়েছে জোয়ার। কলকাতায় জোয়ার শুরু হবে দুপুর ২ টোর দিকে। গঙ্গার ঘাটগুলিতেও পুলিশের তরফে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। জোয়ারের সময় যাতে কেউ গঙ্গায় না নামে। জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পৌঁছতে পারে প্রায় ১৭ ফুট। তবে রাজ্যের তাপমাত্রা খুব একটা কমার সম্ভাবনা নেই। তবে রাজ্যজুড়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ঝড় এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরেই বাংলায় প্রবেশ করবে বর্ষা।