দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ২০১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি মাধ্যমে প্রথম হওয়া অনিমা মুর্মুর ছবি বিভ্রান্তিকর দাবিতে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও সেই ভুয়ো দাবির বার্তাটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
ভাইরাল হওয়া গ্রাফিক পোস্টটিতে এক তরুণীকে অভিভাবকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‛উচ্চমাধ্যমিকের সাঁওতালি মাধ্যমে প্রথম হয়েছে অনিমা মুরমু। কেউ কি ওকে অভিনন্দন জানাবে না?’
ছবিটি ফেসবুকে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্ট করেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি ক্যাপশন লেখেন, ‛অভিনন্দন ও ভালোবাসা #বোন।’
অনিমা মুর্মু যে স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন, বাঁকুড়ার রাইপুরের সেই স্কুল পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের জানান, ‛সাঁওতালি মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিকে ২০১৯ সালে অনিমা মুর্মু ও আরেক ছাত্রী সনকা হেমব্রম প্রথম হয়।’
যাচাই করে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাল তরুণীর ছবিটি ২০১৯ সালে সাঁওতালি মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হওয়া পরীক্ষার্থী অনিতা মুর্মুর। ২০২১ সালে সাঁওতালি মাধ্যমে প্রথম হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর নাম প্রকাশিত হয়নি গণমাধ্যমে।
কিওয়ার্ড সার্চ করে ২৮ মে ২০১৯ বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী বাঁকুড়ার জঙ্গল মহল ব্লকের রাইপুরের পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে যুগ্মভাবে ২০১৯ সালে প্রথম হয়েছিলেন অনিমা মুর্মু ও সনকা হেমব্রম। এই দুই ছাত্রীরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৪৫।
২০২১ সালে সাঁওতালি মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হওয়া পড়ুয়ার নাম এখনও জানা যায়নি। এবিষয়ে গণমাধ্যমে কোনও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।