দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালির কাছে রীতিমতো অসহায় দেখায় দিল্লি পুলিশকে। এদিন সকাল আটটা বাজতে না বাজতেই রাজপথের দখল নেন কৃষকরা। বেলা গড়াতে সঞ্জয়গান্ধী নগরের কাছে মিছিল আসতে কাঁদানে গ্যাসও ছুড়ল দিল্লি পুলিশ। বিক্ষোভস্থলে মৃত্যু হয় এক কৃষকের। সারা দিন ধরে চলে একই রকম বিক্ষোভ। শেষে কৃষকরা লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে। লালকেল্লা থেকে একবার কৃষকদের সরানোর পর, নতুন করে ট্র্যাক্টরে আরও প্রতিবাদী কৃষকরা এসে ভিড় করলেন। এর পরেই পরিস্থিতি বাগে আনতে বন্ধ করা হল ইন্টারনেট। আংশিক বন্ধ করা হল মেট্রো পরিষেবাও। দুপুরের পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিশেষ বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, নিরাপত্তা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই ইন্টারনেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিঙ্ঘু, গাজিপুর, টিকরি, মুকারবা চক, নাঙ্গলোই-এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ২৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকছে। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দিল্লি মেট্রোর বেশ কয়েকটি স্টেশনও। আইটিও মোড়ে যখন প্রাথমিক ঝামেলা হয়, তখনই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় একাধিক মেট্রো স্টেশন।
যদিও এত কাণ্ডের পরে সংযুক্ত কিসান মোর্চার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের মিছিলে অভূতপূর্ব অংশগ্রহণে আমরা অভিভূত। তবে, যে অপ্রীতিকর ঘটনাগুলি ঘটেছে, সেগুলির জন্য আমরা দুঃখিত ও হতাশ। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের থেকে আমরা আমাদের আলাদা করতে চাই।’