দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলে ভাঙন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ ও ফরওয়ার্ড ব্লকে। নতুন করে গড়ে ওঠার অপেক্ষায় তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন মিললেই নতুন করে দল গঠন হবে বলে জানিয়েছেন মালয়ালি রাজ্যের কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে ভেঙে আসা নেতৃত্ব। চলতি মাসের শেষে দিল্লিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তাঁরা।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর আরব সাগরের পারের মালয়ালি রাজ্যেও গড়ে ওঠে কেরল তৃণমূল। সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সংগঠন গড়ে তোলাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০১৫ সালে সংগঠন ভেঙে যায়। বর্তমানে বঙ্গ তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া কয়েকজন নেতার উদাসীন মনোভাবকেই দায়ী করেন মালয়ালি নেতৃত্ব। অভিমানী তৃণমূল নেতারা হাত ধরেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা ডি দেবরাজনের। সে রাজ্যে সিপিএম বিরোধী ফরওয়ার্ড ব্লক হাত ধরে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফের।
গত লোকসভা ভোটে ওয়ানাড় কেন্দ্রে রাহুল গান্ধীর প্রচারে ঘাম ঝরাতে দেখা যায় দেবরাজন-সহ তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে আসা নেতাদের। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় ফরওয়ার্ড ব্লকের। রাজ্যের ১৪০টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসন ফরওয়ার্ড ব্লককে ছাড়তে রাজি ছিল কংগ্রেস। মনোমালিন্য এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ইউডিএফ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফরওয়ার্ড ব্লক। সিদ্ধান্তের কথা কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়েও দেওয়া হয়। আবার এর মাঝেই তৃণমূল ছেড়ে ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগদানকারী নেতারা কংগ্রেসে যোগ দেন। এবার সেখানে কোন্দল। বিধানসভা ভোটে পরাজয় হয় কংগ্রেসের। দ্বিতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করে পিনারাই বিজয়ন নেতৃত্বাধীন এলডিএফ। কংগ্রেসের অভ্যন্তরে শুরু হয় কোন্দল। হারের জন্য একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন নেতারা।
কেরল রাজ্য সভাপতি কে সুধাকরণ, রমেশ চেন্নিথালা, উমেন চান্ডিদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই শোচনীয় পরাজয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তার মধ্যে চলছে নব্য ও আদি কংগ্রেসের কোন্দল। নব্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে কার্যত কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মনোজ শঙ্করানেল্লুরের নেতৃত্বে নব্য কংগ্রেসের সদস্যরা। ফের তাঁরা মালয়ালি রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে ঘাম ঝরাবেন বলে জানান।
চলতি মাসের শেষে বঙ্গ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করতে চান বলে জানিয়েছেন মনোজ। তাঁর অভিযোগ, কেরলে সিপিএম বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাঁত করে ইউডিএফকে পরাজিত করে। আর কংগ্রেস নেতৃত্ব ভোটের আগে কোন্দলে মত্ত ছিল। তাই এমন সিদ্ধান্ত।