দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য একমাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ লোকাল ট্রেন। ফলে কাজকর্মে যেতে পারছেন না নিত্যযাত্রী থেকে খেটে খাওয়া বহু মানুষ। বুধবার সকালে লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে সোনারপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করেছিলেন নিত্যযাত্রীরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে অরবোধ, বিক্ষোভ চলে। তবে এখানেই শেষ নয়, বৃহস্পতিবার ফের লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে রেল অবরোধ যাত্রীদের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সোনারপুর, ঘুটিয়ারি শরিফ–সহ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একাধিক স্টেশনে রেল অবরোধ হয়। সোনারপুরে অবরোধের জেরে দাঁড়িয়ে পড়ে আপ ক্যানিং স্টাফ স্পেশ্যাল। পরপর দু’দিন রেল অবরোধের ঘটনায় বিরক্ত কর্তৃপক্ষ।
করোনা মোকাবিলায় গত মাস থেকে রাজ্যে জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। সরকারি, বেসরকারি অফিসে কম সংখ্যক লোক নিয়ে শুরু হয়েছে কাজ। তবে অধিকাংশ বেসরকারি সংস্থা তাঁদের কর্মীদের যাতায়াতের কোনও বন্দোবস্ত করেনি। এদিকে বাস, ট্রেনের মতো গণপরিবহণ বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন গন্তব্যে পৌঁছতে খরচ হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। তাই সাধারণ মানুষের দাবি, অবিলম্বে কোভিড সতর্কতা মেনে লোকাল ট্রেন চালানো হোক.
আর সেই দাবিতে বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একাধিক স্টেশনে রেল অবরোধ করেন যাত্রীরা। সোনারপুর, ঘুটিয়ারি শরিফ–সহ একাধিক স্টেশনে চলে রেল অবরোধ। মল্লিকপুরে পুলিশ রেল অবরোধ তুলতে গেলে নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয়। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে একাধিক স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন। বাধ্য হয়ে রেলকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। সোনারপুর স্টেশনের অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জিও জানান তাঁরা। তবে অবরোধ তুলতে নারাজ ছিলেন অবরোধকারীরা। তাই কিছুটা জোর করেই অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকে থমথমে সোনারপুর স্টেশন চত্বর।