দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা, নারী নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ। দলের অন্দরে হাজার অসন্তোষ। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে হার। এতকিছু সত্ত্বেও আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতা ধরে রাখতে যোগী আদিত্যনাথের উপরই বাজি ধরেছে বিজেপি। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে যোগীর ভাবমূর্তিতে যে আঘাত লেগেছে তা মেরামত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন এক আমলাকে পাঠিয়ে দিল গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আমলা এ কে শর্মাকে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি পদে নিয়োগ করা হল।
করোনা মোকাবিলা নিয়ে গত কয়েকমাসে বিরোধীদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ যোগী আদিত্যনাথ। কখনও উত্তরপ্রদেশের গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসতে দেখা যাচ্ছে, আবার কখনও দেখা যাচ্ছে গঙ্গার ধারে মৃতদেহের সার। হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব। সব মিলিয়ে বিগত কয়েক মাস নিদারুণ সংকটের মধ্যে কেটেছে উত্তরপ্রদেশবাসীর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরের দিল্লির নেতাদের। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন তিনি। সেই আলোচনার পরও যোগীকে সরানোর কথা ভাবেনি বিজেপি। তবে,উত্তরপ্রদেশে দলের অবস্থার উন্নতি করতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, মোদি ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আমলা তথা উত্তরপ্রদেশ বিধানপরিষদের সদস্য এ কে শর্মাকে মন্ত্রী করা হতে পারে। কিন্তু শনিবার দিল্লিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর ঠিক হল, মন্ত্রী নয় ওই প্রাক্তন আমলাকে দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে। তাঁকে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি করা হয়েছে। এছাড়াও যোগীরাজ্যে দলকে শক্তিশালী করতে সেরাজ্যের একজন দলিত নেতাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে। বড় পদ দেওয়া হতে পারে উত্তরপ্রদেশের কোনও জাঠ নেতাকেও।
প্রসঙ্গত, বিজেপির অন্দরে এখন গুঞ্জন যোগীর সঙ্গে দিল্লির নেতাদের সম্পর্ক মোটেই আগের মতো মসৃণ নেই। সেক্ষেত্রে শর্মাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে গেরুয়া শিবির উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপর ‘নজরদারি’র কাজটিও সেরে রাখতে চাইছে।