দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের অনগ্ৰসর এলাকা বলে পরিচিত মারাঠাওয়াড়ার ৪ তবলীগ জামাত সদস্যকে বুধবার বেধড়ক প্রহর করা হয়। মারাঠাওয়াড়ার এক প্রত্যন্ত গ্ৰামে বুধবার রাতে এই নৃশংস শারিরীক ঘটনাটি ঘটে। মারধরের সঙ্গে সঙ্গে তাদের এই দেশ ছেড়ে ‘অন্য দেশে’ চলে যাওয়ার কথা বলে দুষ্কৃতীরা। আসলাম, সাইয়েদ, নিজামুদ্দিন ও সোহাইল নামের ওই চার ব্যক্তি বীড় জেলার একটি গ্ৰাম থেকে তাদের নিজের গ্ৰামে ফিরছিলেন। পথে গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় তারা একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। বাইকে করে যাওয়ার সময় দুই দুষ্কৃতী তাদের দেখলে নানারকম ভাবে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। এরপর তারা আরও ৬ জন বন্ধুকে ডেকে পাঠায় এবং ওই চারজনকে মারধর করে নৃশংসভাবে।
মানবাধিকার কর্মী অশোক টাংগারে জানাচ্ছেন, এই জেলাতে এই ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চবর্ণের হিন্দুরা গভীর রাতে রাস্তায় মানুষজনকে ধরে এভাবে মারধর করছে। অনেককে তারা আশ্রয় দেয়, খাবারও দেয়, এবং ঘুমানোর জন্য জায়গা দেয়। কিন্তু তারা যেহেতু মুসলিম ছিল, তাই তাদের এভাবে মারা হয়েছে। মুসলিমদের সারাদেশের সঙ্গে সঙ্গে এখানেও সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। মুসলিম, দলিত এখন রাতের একাকী এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারছে না। তাদের নিজ সম্প্রদায়ের না হয়ে ভিনধর্মের হলে তাদেরকে মারধর করা শুরু হচ্ছে। আক্রমণকারীরা চারজনের দাড়ি ধরে টান দিয়েছিল এবং তাদের টুপি ছুড়ে খুলে ফেলে দিয়েছিল।
হুমকি দেয়, তোমার হিন্দুস্থানে থাকার যোগ্য নও। অন্য দেশে চলে যাও। তারপর তাদের ইট ও লাঠি দিয়ে মারা হয়। এক ঘন্টা পর যখন পুলিশ এসে পৌঁছয়, ততক্ষণে তাদেরকে আধমরা করে ফেলা হয়েছে। পরে তাদেরকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি এফআইআর করা হয়েছে এবং দু’জন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে পুলিশের জালে।