দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে চলতি বছরে ঘটা গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে উমর খালিদকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। তাঁর মুক্তি চেয়ে নোয়াম চমস্কি, মীরা নায়ার সহ ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষাবিদ, চলচ্চিত্রকার ও লেখক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
এই বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ, লেখক অমিতাভ ঘোষ, সলমন রুশদি, অরুন্ধতী রায় ও সাংবাদিক পি সাইনাথ সহ আরও অনেকে। কেন্দ্রের কাছে উমরের মুক্তি চেয়ে ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিএএ-এনআরসি বিরোধীদের মিথ্যা ও অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। ভারতের সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ সরকারি কর্মী হিসাবে দিল্লি পুলিশকে দিল্লি হিংসা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করা দরকার। সেখানে পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উমর খালিদকে ১৪ সেপ্টেম্বর কঠোর ইউএপিএ ধারায় গ্ৰেফতার করা হয়েছে। বিশ্বের বিশিষ্টজনেরা তরুণ গবেষক ও সমাজকর্মী উমর খালিদকে নির্ভীক তকমা দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা চার্জকে বানানো বলেও মন্তব্য করেছেন। খালিদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতাকে প্রসংশা করেছেন চমস্কির মতো ব্যক্তিত্বরা।
পাশাপাশি বলেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকতার ধারণা একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কোনও স্থান নেই। এমন কালা আইনের বিরুদ্ধে উমর খালিদ হয়ে উঠেছিলেন জোরালো কণ্ঠস্বর। দেশের বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে ভাষণ দিয়েছেন এবং ভারতের সংবিধানের গুরুত্বকে তুলে ধরেছেন। ক্ষুধা, বঞ্চনা, পক্ষপাতিত্ব ও ভয় থেকে মুক্তির কথা বলেছেন সর্বত্র। প্রান্তিকজনদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। সর্বোপরি তিনি শান্তি প্রচার করেছেন। তাঁকে কিভাবে জিহাদি হিসাবে চিহ্নিত করা যায়? শুধু কী তিনি মুসলিম বলে? প্রশ্ন তুলেছেন আন্তজার্তিক মহলে সমাদৃত ব্যাক্তিরা।