দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির নবাগত বিধায়কদের ক্লাস নিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। সেই বৈঠক নিয়েও অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির। বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপির ৬ বিধায়ক। এঁদের মধ্যে একজন বিধায়কের অনুপস্থিতির কারণ জানা গিয়েছে। বাকি ৫ জনের অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
শুভে্ন্দু অধিকারীর উদ্যোগে বিজেপির হেস্টিং কার্যালয়ে বসেছিল বিধায়কদের প্রশিক্ষণ শিবির। সেখানে বিজেপির ৭৫ জন বিধায়কের মধ্যে মুকুল রায় অনুপস্থিত থাকবেন তা নিশ্চিত, কেননা তিনি এখন তৃণমূল নেতা। তাঁকে বাদ দিয়েই ৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ উপস্থিত ছিলেন ৬৮ জন।
করোনা মহামারীর কারণে ৫০ জন বিধায়ককে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। বাকিদের বিশেষ করে দূরের বিধায়কদের ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায় হেস্টিংস অফিসে ৪০ জনের বেশি বিধায়ক ছিলেন। বাকিরা ভার্চুয়ালি যোগ দেন। ছিলেন না ছ-জন।
বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিত বিধায়কদের মধ্যে রয়েছে দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কুলটির বিধায়ক অজয়কুমার পোদ্দার ও ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
বিজেপি বিধায়কদের ক্লাস নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চিলেন কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, রাজ্য সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী ও রাজ্যের সিনিয়ন কয়েকজন নেতা। নতুন বিধায়কদের বিধানসভার অন্দরে কী করণীয় হবে, কী ভূমিকা পালন করতে হবে, তা শেখানো হয়।
বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাবা অসুস্থ থাকায় তিনি উপস্থিত হতে পারেননি বৈঠকে। বাবাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তিনি দিলীপ ঘোষ বা শুভেন্দু অধিকারী কাউকেই জানাতে পারেনিন তাঁর অনুপস্থিতির কারণ। বাকি গরহাজির বিধায়কদের অনুপস্থিতির কারণ জানা যায়নি।