দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ধমানে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে বড়সড় অস্বস্তিতে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে দিলীপ ঘোষের সাংবাদিক সম্মেলন থামিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা৷ বিজেপি রাজ্য সভাপতির সামনেই দলের দুই গোষ্ঠী ধাক্কাধাক্কিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ে৷
এ দিন জেলা পার্টি অফিসে বিজেপি-র পূর্ব বর্ধমান জেলার কার্যকারিণী সভা ছিল৷ সেই বৈঠকে যোগ দিতে বর্ধমান শহরের জেলা অফিসে পৌঁছন বিজেপি রাজ্য সভাপতি৷ বৈঠকে ডাক পাওয়া নিয়ে এ দিন সকাল থেকেই জেলা পার্টি অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন দলের পুরনো কিছু কর্মী৷ দিলীপ বাবু পৌঁছনোর পর তাঁর সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা৷ এ নিয়ে দলের অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বাদানুূবাদ শুরু হয়৷ এমন কি, বৈঠক শুরুর আগে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে সেখানে গিয়েও হাজির হন বিক্ষোভকারীরা৷ বাধ্য হয়ে সাংবাদিক বৈঠক থামিয়ে দেন দলের রাজ্য সভাপতি৷ বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে গেলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, গালিগালাজ শুরু হয়ে যায়৷
ইন্দ্রনীল গোস্বামী নামে দলের এক পুরনো কর্মীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছেন তাঁরা৷ তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষের মতো রাজ্য নেতারা এক সময় আমাদের বাড়িতে এসে মধ্যাহ্নভোজ করে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতেন৷ আর এখন আমরাই দলে ব্রাত্য৷ যত স্বার্থান্বেষী, দুর্নীতিবাজরা এখন দলের বৈঠকে ডাক পায়৷ অখচ আমাদের ডাকা হচ্ছে না৷
বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বর্ধমানের এই জেলা পার্টি অফিসের বাইরেই বিজেপি-র আদি নব্য গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল৷ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ বিশাল পরিমাণ পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়৷ ওই ঘটনার পর দলীয় স্তরে তদন্ত করে বেশ কয়েকজন নেতা, কর্মীকে সাসপেন্ড করেছিল বিজেপি৷ কিন্তু আদি- নব্য কোন্দল যে ভোটের ফল প্রকাশের পরেও মেটেনি, তা এ দিন ফের স্পষ্ট হয়ে গেল৷