সাকিব হাসান, দৈনিক সমাচার, সোনারপুর: বহিরাগত নেতাদের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহায় জং ধরবে না, বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাকে এভাবেই তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে পরোক্ষে গুটখাখোর বলে অভিহিত করেন। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ঠাকুরনগরের সভা থেকে অমিত শাহের বক্তব্যকে খন্ডন করে অভিষেক বলেন কোনদিন সিএএ লাগু হবে না।
এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের সভায় ফের অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন অভিষেক। আর সেটা করলেন নাম নিয়েই। একইসঙ্গে তিনি আরও একবার বিজেপি–র বিরুদ্ধে সরব হলেন ‘বহিরাগত’ ইস্যুতে। বহিরাগত নেতাদের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহায় জং ধরবে না— এ কথা বলেই এদিন বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করেন তৃণমূল যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘এই লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই নয়। বহিরাগতদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করার লড়াই। উত্তরপ্রদেশ–সহ অন্য রাজ্যের সব বহিরাগত নেতাদের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহায় জং ধরবে না। ওরা আসবে, খাওয়া–দাওয়া করবে, মে মাসে রেজাল্ট বেরোবে আবার সবকটাকে প্যাক করে গুজরাট আর উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দেবে বাংলার মানুষ।’
২০১৯ সালে সংসদে সিএএ আইন পাশ হয়েছিল। কিন্তু আজও লাগু হলনা। এখন বলছে করোনা ভ্যাকসিন শেষ হলে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মতুয়াদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। মতুয়ারা এদেশের নাগরিক। কারণ তাঁদের ভোটে তৈরী হয়েছে এদেশের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্র ও রাজ্যের একই সরকার ও সোনার বাংলা স্লোগান নিয়েও অভিষেক কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা বলছেন ডবল ইঞ্জিন সরকার। বাংলার একটি মাত্র ইঞ্জিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর বিজেপির ৫০ টি ইঞ্জিন লাগাতে হয়েছে একটি ইঞ্জিনকে হারাতে। আগে সোনার উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, গুজরাত করে দেখাও। পরে সোনার বাংলা গড়বে। রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পগুলিই আগমী নির্বাচনে তৃণমূলকে ফের ক্ষমতায় নিয়ে আসবে বলে জানান অভিষেক। তিনি বলেন এ রাজ্যে খাদ্য , শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান সম্পর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়।