দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মোদী সরকারের ঘুম কেড়ে নিয়েছে কৃষক আন্দোলন। কৃষক বিরোধী কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে কৃষকদের আন্দোলন অব্যাহত। সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল ঘিরে বিশৃঙ্খলা। তার পর একের পর এক অভিযোগ। পুলিশি মামলা। অনেকেই মনে করেছিলেন, কৃষকদের আন্দোলন এবার থেমে যাবে। কিন্তু নাহ্। আরও জোরালো হচ্ছে সেই আন্দোলন। শত বাধা–বিপত্তি অগ্রাহ্য করে রোজ আরও শয়ে শয়ে কৃষক যোগ দিচ্ছেন আন্দোলনে।
দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলনস্থলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। রাস্তায় ব্যারিকেড। অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও পৌঁছতে পারছেন না বিক্ষোভস্থলে। তাই হাজার হাজার কৃষক বসে পড়ছেন হরিয়ানার টোলপ্লাজা, জাতীয় সড়কে।
হিসার–সিরসা জাতীয় সড়কের লান্ধ্রি টোলপ্লাজায় জড়ো হয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। তাঁদের প্রতিজ্ঞা একটাই, তিনটি কৃষি আইন রদ করতে হবে সরকারকে। নয়তো আন্দোলন থেকে সরবেন না তাঁরা। এদিন সেখানে বক্তব্য রেখেছেন কৃষক নেতা অশোক ধাওয়ালে, কুলবন্ত সিং সাঁধু, গুরনাম সিং চাদুনি। বক্তৃতা শুনতে জড়ো হন হাজার হাজার মহিলাও। মুখে তাঁদের বিপ্লবের গান।
ইন্টারনেট পরিষেবা বিক্ষোভস্থলে বন্ধ করেছে সরকার। প্রতিবাদে সোমবার জিন্দ–চণ্ডীগড় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন কৃষকরা। মঙ্গলবার নরওয়ানা শহরের কাছে পাটিয়ালা–জিন্দ–রোহতক–দিল্লি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। খাটকার টোল প্লাজার কাছে অবস্থান করেন কৃষকরা। খাপ নেতা আজাদ পালওয়া জানালেন, ‘শুধু কৃষক নন, স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ। বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। অফিসের কাজ করতে পারছেন না। আগের সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করত, যাতে গুজব না ছড়ায়। মোদি সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে, যাতে আসল সত্যি না প্রকাশ পায়।’