দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বা উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারেনি। যা করেছে তা হল শুধু নাম আগের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নাম পরিবর্তন। পুরোপুরিভাবে দেশ চালাতে ব্যর্থ কেন্দ্রের মোদী সরকার। তাই ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতিতে ব্যস্ত, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এর আগেও কোনও প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে মুসলিমদের বারবি মসজিদকে কি ভাবে রাম মন্দিরে পরিণত করল বিজেপি সরকার তা গোটা বিশ্ব জানে। এবার মোঘল আমলের তাজমহলকে শিবমন্দির দাবি করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের চার সদস্য গত রবিবার শিব পুজোর জন্য তাজ চত্বরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। এমনকি সেখানে পুজো দেওয়ারও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
অনলাইনে পোস্ট একটি ভিডিওতে সংগঠনের স্থানীয় নেতা গৌরব ঠাকুরকে তাজ চত্বরে একটি বেঞ্চে চোখ বুজে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। অন্য একজনকে তাঁর পিছনে গৈরিক পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আর একজন ঘটনা তাঁর ফোনে রেকর্ড করেন। ঠাকুরের দাবি, তিনি তাজে গঙ্গা জল ছিটিয়েছেন। তাঁর দাবি, এই সৌধ আদতে শিব মন্দির। অতীতে কমপক্ষে পাঁচবার তিনি এখানে প্রার্থনা করেছেন। সিআইএসএফ ওই তিনজনকে আটক করে এবং পরে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এর আগেও দক্ষিণ পন্থী সংগঠনগুলি এ ধরনের দাবি করে তাজ চত্বরে প্রার্থনার চেষ্টা করেছে।
উল্লেখ্য, আগ্রার তাজমহলকে ঘিরে একটি কাল্পনিক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব রয়েছে। এই তত্ত্বে বিশ্বাসীদের দাবি, এটি আদতে ছিল শিবের মন্দির, নাম তেজো মহালয়। সেই মন্দিরের ওপর তাজমহল তৈরি করা হয়েছিল। এ ধরনের অন্যান্য যড়যন্ত্রের তত্ত্বের মতো এই দাবিরও কোনও বৈজ্ঞানিক বা ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। ২০১৫-তে সংসদে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা বলেছিলেন যে, তাজমহল হিন্দু মন্দির ছিল এমন কোনও প্রমাণ নেই। ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সংস্থাও ১৭ শতকের এই ঐতিহাসিক সৌধ ঘিরে ষড়যন্ত্রের তত্ত্বা নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু এরপরও ষড়যন্ত্রের প্রবক্তারা তাদের ভিত্তিহীন দাবি থেকে সরে আসেনি।