দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : একদিকে করোনার মারণ আতঙ্ক, অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও নদী ভাঙনে জনজীবন প্রায় তছনছ অবস্থা। এমনই দুঃসময়ের মধ্যেও অসমে ‛ডি’ ত্রাস কমেনি। বিভিন্ন অঞ্চল লকডাউন কিংবা কোয়ারেন্টাইনে রুদ্ধ। সেই সময়ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বিভিন্ন জেলায় দেদার ‛ডি’ অর্থাৎ সন্দেহভাজন নাগরিকদের নোটিশ ইস্যু করা হচ্ছে।
বন্যার জলে সর্বস্ব হারানো নাগরিকদের টার্গেট করেই এই সময়ে অসমের বিজেপি সরকার বহু মানুষকে বে-নাগরিক বানানোর চক্রান্তে মেতেছে বলে অভিযোগ। অসমের ২৬টি জেলা এই মূহুর্তে কম-বেশি বন্যায় প্লাবিত। প্লাবনে বাস্তুহারা একাংশ মানুষের খোঁজ না মেলায় সীমান্ত পুলিশের তরফ থেকে লাইট পোস্টেই সেই নোটিশ ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বঙাইগাঁও শহরের ৯, ১১ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের টেকনঝড়া নদীর প্লাবনে শোচনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া, বাবুপাড়া, শালবাগান ইত্যাদি বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলে ব্যাপক হারে লাইট পোস্টে ‛ডি’ নোটিশ ঝোলানো হয়েছে। বিপ্লব সাহা, গোপাল দেবনাথের মতো কয়েক পুরুষের বাসিন্দাদের নামেও জারি করা হয়েছে ‛ডি’ নোটিশ।
জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্ন অসমের বেশ কিছু জেলায় করোনা সংক্রমণ এবং ভয়াবহ বন্যার চেয়েও অনেক বেশি ‛ডি’ আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ। এখন সীমান্ত পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে এদের খোঁজ কে নেবে? সবমিলিয়ে নোংরা রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে অসমের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।