দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো একটি চিঠিতে চিটফান্ড কাণ্ডে বন্দি সুদীপ্ত সেন লিখেছেন, তিনি বিভিন্ন সময়ে শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ৯ কোটি টাকা, অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ৬ কোটি টাকা এবং সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য বিমান বসুকে ২ কোটি টাকা দিয়েছেন।
ওই আবেদনের উপর ১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ লেখা রয়েছে। অর্থাৎ চিঠি লেখা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর। শুভেন্দু মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ২৭ নভেম্বর শুক্রবার। ১ ডিসেম্বর ছিল মঙ্গলবার। অর্থাৎ যে দিন রাতে উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে শুভেন্দুকে বোঝাতে সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর গিয়েছিলেন, ঘটনাচক্রে চিঠিটি সেদিনই লেখা।
এই সেদিন দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় সিবিআই হাইকোর্টে জানিয়েছে, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায়কে তারা মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায়। ব্যাপারটা তখনও জানা যায়নি। তবে শনিবাসরীয় দুপুরে হঠাৎই একটি তিন পৃষ্ঠার চিঠির উদয় হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে সেটি ঘুরছে। সেই চিঠিটি নাকি ‘প্রিসনার্স পিটিশন’। অর্থাৎ বন্দির আবেদন।
সোশাল মিডিয়ায় কত কাগজই এরকম ঘোরে। একবার চিটফান্ড কাণ্ড সংক্রান্ত এরকমই একটি চিঠি হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরেছিল। তাতে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের নাম জড়ানো হয়েছিল। দেখা যায়, সেটি আদ্যন্ত ভুয়ো একটি চিঠি। যেহেতু ওই চিঠিটিতে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারিনটেন্ডেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর সাক্ষর রয়েছে। তাই তাঁকে এই চিঠির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “হ্যাঁ যতদূর মনে পড়ছে উনি একটা চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এর বেশি আর কিছু বলতে পারব না”। তাঁকে বলা হয়, আমাদের কাছে যে চিঠির প্রতিলিপি রয়েছে, সেটা কি আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালে একবার দেখে বলবেন? তিনি বলেন, “না, পাঠানোর দরকার নেই। এখানে নেট স্লো রয়েছে।” কিন্তু এতেও চিঠির ষোলো আনা সত্যতা যাচাই হল না বলেই মনে করা হচ্ছে তাই তার প্রতিলিপি প্রকাশ করা হল না।
সারদা কাণ্ডে ২০১৩ সালে গ্রেফতার হয়েছেন সুদীপ্ত সেন। তার পর প্রায় সাত বছর কেটে গিয়েছে। এতোদিন পর ব্যাপারটা মনে পড়েছে শুনে অনেকেই আশ্চর্য হচ্ছেন।