দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের নতুন সরকার তৈরির পর প্রথমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এই সাক্ষাৎ বা বৈঠক মধুর পথে শেষ হল না। বরং বাড়ল উভয়ের সংঘাত। এই বৈঠকে একটি কথাও বলার সুযোগ না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র অপমানিত বোধ করলেন। তিনি বলেন, ‘খুব খারাপ লেগেছে, কথাই বলতে দেননি। সৌজন্য বিনিময়ও করেননি। তাহলে কেন মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকলেন? ডেকে অপমান করলেন।’ পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এখানে ছোটখাটো কিছু হলেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশে কেন পাঠানো হচ্ছে না? সেখানে তো নদীতে করোনার মৃতদেহ ভাসছে।’
বৃহস্পতিবার বাংলা–সহ ১০ রাজ্যের মোট ৫৪ জন জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। আর তালিকায় ছিলেন বাংলার ৯ জেলার জেলাশাসক এবং মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। তিনি বলেন, ‘উনি নিজের মতো কিছু বলে মুখ লুকিয়ে চলে গিয়েছেন। আমরা, মুখ্যমন্ত্রীরা অপমানিত বোধ করেছি। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো না মেনে কাজ করছে কেন্দ্র। আমি চাই, সব মুখ্যমন্ত্রীরা আমার মতো প্রতিবাদ করুক। গঙ্গাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করা হয়েছে।’
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করার পাশাপাশি বিহার, উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় করোনায় মৃতের দেহ ভাসানো নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশটাকে বিষাক্ত করে ছাড়ছে। নদীতে একের পর এক দেহ ভাসছে। মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। যে গঙ্গা পবিত্র, সে জলে হাত দিতে মানুষ ভয় পাচ্ছে।’ ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাংলায় টিম পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে কেন কেন্দ্রীয় টিম গেল না নদীতে দেহের তদন্ত করতে? ওটা বিজেপির রাজ্য বলে? একাধিকবার টিকার জন্য চিঠি লিখলেও কেন্দ্রের তরফে কোনওরকম সবুজ সংকেত মিলছে না।’